শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৩ ০০:০০ টা

মমতাকে \\\'চরমপত্র\\\'

মমতাকে \\\'চরমপত্র\\\'

অবশেষে মামলা করতে যাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি। তবে শেষবারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে গতকাল একটি চিঠি দিয়েছে কমিটি। সংগঠনের নেতারা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে এটা তাদের 'চরমপত্র'। কমিটির সহ-সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার যথেষ্ট গুরুত্বসহকারে এ সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার বিরোধিতা করছে। ছিটমহলবাসী তাদের দুর্ভোগের কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে এর আগে সাতবার চিঠি দিয়েছে। কিন্তু মমতা সাড়া দেননি। এমনকি তিনি নূ্ন্যতম সৌজন্যবোধও দেখাননি। তাই মামলার প্রস্তুতি চলছে। আদালতই এখন শেষ ভরসা।' দীপ্তিমান অভিযোগ করেন, ১৯৭৪ সালের ১৬ মে দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধী ও শেখ মুজিবুর রহমান ছিটমহল বিনিময় নিয়ে একটি চুক্তি করেন। সে অনুযায়ী এগুলো যে দেশে আছে সেই দেশের অঙ্গীভূত করে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এ চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। ছিটমহলের প্রায় পৌনে তিন লাখ মানুষ নাগরিকত্বহীন জীবন কাটাচ্ছেন। এখানে পর্যাপ্ত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুবিধার ব্যবস্থা নেই। চিকিৎসা পেতে মূল ভূখণ্ডে গেলে বিদেশি বলে হয়রানি করা হয়। এমনকি গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়। আশা ছিল, ভারতের সংসদে এ-সংক্রান্ত বিল পাস হলে ৬৫ বছরের অবিচারের অবসান হবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বিরোধী দলগুলো বিলের বিরোধিতা করছে।

দিপ্তীমান সেনগুপ্ত আরও বলেন, 'ভারতের সংবিধান অনুযায়ী ভোটাধিকারসহ অন্যান্য নাগরিক অধিকার দেওয়ার আবেদন জানিয়ে আগামী মাসে আমরা আইনি লড়াইয়ে নামছি। রাজ্য সরকারের চারটি দফতর স্বরাষ্ট্র ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন_ এ পাঁচ দফতরের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।' তবে মামলার আগে সৌজন্যের খাতিরেই শেষবারের মতো মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাতের আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সমন্বয় কমিটি। কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গান্ধীর দফতরের মাধ্যমে চিঠিটি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা করার আর্জি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, ভারতে ৫১টি বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশে ভারতের ১১১টি ছিটমহল রয়েছে।

 

 

সর্বশেষ খবর