পেঁপে চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী আদর্শ কৃষক নূরুল ইসলাম উজ্জ্বল। বগুড়ার গাবতলীতে পেঁপে চাষ করে তিনি পেয়েছেন ব্যাপক সফলতা। মাত্র ২৪ শতক জমি থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকার পেঁপে বিক্রির আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে তিনি ৫০ হাজার টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন বলেও জানান।
গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের আমতলীপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের পুত্র উজ্জ্বল। ছোটবেলা থেকে বাবার সঙ্গে কৃষিকাজে সহায়তা করতেন। বাবার খুব বেশি জমি ছিল না। যেটুকু জমি ছিল তাতেই চাষাবাদ করে সংসার চলত। ধান, পাট, মরিচ, টমেটো, পটোল, কপি চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। উজ্জ্বল পটোলের জমিতে মরিচ, কখনো লাল শাক, আবার ডাঁটা শাক চাষ করেন। বাঁধাকপির জমির চার পাশ দিয়ে মরিচ বা কলা চাষ করতেন। এবার পেঁপে চাষ করে বাম্পার ফলন হওয়ায় এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। স্ত্রী-মেয়ে-পুত্রকে নিয়ে ২৫ শতক জমিতে উন্নত দেশীয় শাহী পেঁপের ৪০০টি চারা রোপণ করেন। চারা, বীজ, সার, ওষুধ, মজুরিসহ এতে তার ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। তিনি জানান, এখন গাছে পেঁপে পাকতে শুরু করেছে। বাজারে চাহিদা থাকায় পাইকাররা বাগান থেকে পেঁপে কিনে নেন। সময়মতো পাইকার না এলে তিনি বাজার পর্যন্ত পোঁছে দেন। গাবতলী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের সার্বিক সহযোগিতায় পেঁপে চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন বলেও তিনি জানান। পেঁপে চাষি উজ্জ্বল জানান, ভবিষ্যতে তিনি একটি কৃষি খামার প্রতিষ্ঠা করতে চান। এ জন্য তিনি স্থানীয় কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছেন।