শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা
শুক্রবারের বিশেষ প্রতিবেদন

মুষ্টির চালে উৎসবের স্কুল

মুষ্টির চালে উৎসবের স্কুল

পাঁচ বছরের ঊষার কাছে স্কুলই সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। কারণ পড়াশোনা আর বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলায় মেলে সুস্বাদু খাবার। 'ব্রাইট শিশুকানন' নামে একটি বেসরকারি স্কুলে দুপুরে শিক্ষার্থীদের জন্য এ আয়োজন করা হয় মায়েদের মুষ্টির চালে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নে স্কুলটির অবস্থান। প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীর জন্য প্রতিদিনই থাকে টিফিনের ব্যবস্থা। রবিবার দেওয়া হয় ভুনা খিচুড়ি। স্কুলের সামনের মাঠে বড় ডেকে (পাত্রে) খিচুড়ি রান্না করা হয়। কোমলমতি শিশুদের পুষ্টির কথা ভেবে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকরা এ উদ্যোগ নিয়েছে। রান্নায় বাবুর্চির সঙ্গে আটজন অভিভাবকের (মায়েরা) একটি দলও কাজ করে। কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল ৯টা থেকে কয়েক ঘণ্টা ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মায়েরা প্রতিদিনের রান্নার চাল থেকে এক মুষ্টি বাঁচিয়ে রাখেন। প্রতি শনিবার তা জমা নেওয়া হয়। স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকেও সহায়তা করা হয়। অভিভাবক নুশরাত সুলতানা বলেন, 'আটজন করে দল করেছি। তারা পর্যায়ক্রমে রান্না ও পরিবেশন করেন।' সরেজমিনে দেখা যায় রীতিমতো উৎসবের আমেজ। রবিবার বেলা ১টায় বিরতির ঘণ্টা বাজতেই হইচই শুরু। কে কার আগে থালাবাসন আর গ্লাস নিয়ে বসবে, এর প্রতিযোগিতা। তবে হাত ধোয়া ছাড়া কারও বসার অনুমতি নেই। শিক্ষক আর মায়েরা খুদে শিক্ষার্থীদের খাওয়ান পরম মমতায়। স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শহীদুল্লা গাজী বলেন, 'শিশুদের পুষ্টি ও শারীরিক বিকাশের কথা ভেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এর ফলে স্কুলের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহও বেড়েছে।' স্কুলের পরিচালক রায়হানা সুলতানা কণা বলেন, 'স্কুলটি অজপাড়াগাঁয়ে। অনেক ছাত্রছাত্রীই গরিব। সবার সহযোগিতায় এটি চলে। শীঘ্রই সপ্তাহে তিন দিন খিচুড়িসহ আরও পুষ্টিকর খাবারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।' উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুর রহমান সরকার বলেন, 'নিঃসন্দেহে এটি ভালো উদ্যোগ। বেসরকারি একটি স্কুলের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।'

 

 

সর্বশেষ খবর