শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

এমপিও নিয়ে সংসদে তোপের মুখে শিক্ষামন্ত্রী

শেখ সেলিমের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অনেকটা অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেন, আমাদের অবিলম্বে টাকা দেওয়া হোক। আজ টাকা পেলে কালই কার্যকর করব। আশা করব মাননীয় অর্থমন্ত্রী এই টাকা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন। গতকাল জাতীয় সংসদে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) ও নতুন ভবন নির্মাণ নিয়ে মহাজোটের এমপিদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। পাশাপাশি মহাজোটের সদস্যরা এই খাতে অর্থ ছাড় না দেওয়ায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কঠোর সমালোচনা করেন।
গতকাল সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও বিভিন্ন সময় একই বিষয় নিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী। এ ছাড়াও 'কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলায় দামিহা উদয়ন কলেজকে চলতি আর্থিক বছরে এমপিওভুক্ত করতে গতকাল একটি সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব আনেন জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু। তার এ প্রস্তাব সমর্থন করে দশজন এমপি নিজ নিজ এলাকার কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম যোগ করেন। অবশ্য প্রস্তাবটি পরে প্রত্যাহার করা হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে বিষয়টি নিয়ে সরকারি দলের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমসহ বেশ কয়েকজন এমপি প্রশ্ন করেন। এ সময় অর্থমন্ত্রী সংসদে না থাকায় শেখ সেলিম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। অর্থমন্ত্রী সংসদের প্রথম দিকে উপস্থিত থাকলেও মাগরিবের নামাজের বিরতির পর তিনি ছিলেন না। এমপিওভুক্তির বিষয়টিকে হাউসের সেন্টিমেন্ট উল্লেখ করে সরকার দলের শেখ ফজলুল করিম সেলিম প্রশ্ন রাখতে গিয়ে বলেন, সরকার সাড়ে ৪ বছরে শিক্ষাখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। তারপরও কোথায় যেন একটু খুঁত থেকে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাখাতকে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। বাজেটেও এ খাতে বেশি অর্থ ব্যয় হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত ও উন্নয়ন কাজের জন্য তালিকা নিয়েছেন। এটা একনেকেও পাস হয়েছে। সরকারের এখন শেষ সময় কিন্তু এ ব্যাপারে, কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। আমরা কোনো সদুত্তর পাচ্ছি না। এমপিওভুক্তি ও উন্নয়ন কাজের যে তালিকা শিক্ষামন্ত্রী নিয়েছেন তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো পজেটিভ পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। অর্থমন্ত্রীর প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সরকার দলের এই প্রভাবশালী সদস্য বলেন, এমপিওভুক্তি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অর্থমন্ত্রী টাকা ছাড় করেন না। জানি না তিনি কেন টাকা ছাড় করছেন না। সরকারের আর মাত্র তিন মাস আছে। এই সময় অর্থের কোনো সংকট হতে পারে তা আশা করা যায় না।

সর্বশেষ খবর