বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা
জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা

বাংলাদেশের প্রয়োজন এক হাজার কোটি টাকা

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রয়োজন এক হাজার কোটি ডলার। এ জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের অষ্টম দিন সন্ধ্যার পর ওয়ারশো স্টেডিয়ামের কনফারেন্স হলে বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত সাইট ইভেন্ট থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। ক্লাইমেট ইনিশিয়েটিভ অব বাংলাদেশ : শেয়ারিং দ্য এঙ্পেরিয়েন্স অব ফাইন্যান্স, অ্যাডাপটেশন অ্যান্ড মিটিগেশন শীর্ষক এই সেমিনার থেকে বলা হয়, সীমিত সম্পদের কারণে বাংলাদেশের একার পক্ষে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ সম্ভব নয়। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় উন্নয়ন সহযোগীদের পাশে চায় বাংলাদেশ। পরিবেশ ও বনসচিব সফিকুর রহমান পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাইট ইভেন্টে আলোচনায় অংশ নেন এলডিসি গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকাশ মাথেমা, এডাপটেশন ফান্ড বোর্ডের ইন কামিং প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মামাদু হোনাদিয়া, বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. আইনুন নিশাত, পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম ও ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিদারুল আহসান। অনুষ্ঠানের শুরুতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের অর্থায়ন, অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমের ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের ওপর কী ধরনের বিরূপ প্রভাব পড়ছে এবং বাংলাদেশ কীভাবে নিজস্ব অর্থে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজন ও প্রশমন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরা হয়। নিজস্ব অর্থে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়। বলা হয়, বাংলাদেশ সীমিত সম্পদ দিয়ে যেভাবে নিজস্ব অর্থেই জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন ও প্রশমন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে তা অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে।

এলডিসি গ্রুপের প্রকাশ মাথেমা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভূমিকার কথা তুলে বলেন, প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে। জলবায়ু অর্থায়নেও বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিয়েছে। অভিযোজন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থ দিয়েই এ অভিযোজন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তিনি চলমান জলবায়ু সম্মেলনে দর কষাকষির কথা উল্লেখ করে বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলো ওয়ারশো জলবায়ু সম্মেলনে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলছে। এটা সম্ভব হচ্ছে বাংলাদেশের ভূমিকার কারণেই।

এডাপটেশন ফান্ড বোর্ডের ইন কামিং প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মামাদু হোনাদিয়া বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ দুটি তহবিল গঠন করেছে। এটা অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য অনুসরণযোগ্য।

পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রায় এক হাজার কোটি ডলার প্রয়োজন। বাংলাদেশের জনসংখ্যা অত্যধিক, সম্পদ সীমিত। তাই এ বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশের একার পক্ষে জোগান দেওয়া সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়ানো।

সর্বশেষ খবর