শিরোনাম
সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

রায় ১৮ ডিসেম্বর, ১৩ আসামিকে খুঁজে পায়নি পুলিশ

রায় ১৮ ডিসেম্বর, ১৩ আসামিকে খুঁজে পায়নি পুলিশ

পুরান ঢাকার দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাশ হত্যার এক বছর আজ। কিন্তু এই মামলার পলাতক ১৩ আসামিকে এখনো খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। অথচ আলোচিত এই হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম বর্তমানে প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ সব সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন, রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পারিচালনাকারী বিশেষ কৌঁসুলি এস এম রফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মামলার কার্যক্রম শেষ হতে চলছে। অথচ বিশ্বজিৎকে হত্যার এক বছর পার হয়ে গেলেও পলাতক ১৩ আসামিকে এখনো খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার এবং ঢাকার আদালতের পুলিশ প্রধান আনিসুর রহমান বলেন, বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার পলাতক ১৩ আসামিকে গ্রেফতারের জন্য আদালতের আদেশ মোতাবেক গ্রেফতারি পরোয়ানা আসামিদের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আমরা নিয়মিত সংশ্লিষ্ট থানায় খোঁজখবর চালিয়ে যাচ্ছি। তবে পলাতক আসমিদের গ্রেফতারে পুলিশ বিভাগ সব সময় আন্তরিকভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে এতদিন পরও হত্যাকারীদের সবাইকে গ্রেফতার করতে না পারায় ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করে নিহত বিশ্বজিতের বাবা অনন্ত দাশ বলেন, বিচারটুকু যদি পাই এ জন্যই আদালতে গিয়ে আমি আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছি। কিন্তু এ মামলার পলাতক ১৩ আসামি এখনো গ্রেফতার হয়নি। তাই আমার পরিবার ও আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পলাতক ১৩ আসামি হলেন রাজন তালুকদার, ইউনুস আলী, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, আজিজুর রহমান, আলাউদ্দিন, ইমরান হোসেন, মীর নূরে আলম লিমন, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম, কামরুল হাসান, তারিক বিন জোহর তমাল, মনিরুল হক পাভেল ও মোশাররফ হোসেন। এ ছাড়া মামলার গ্রেফতার আট আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন রফিকুল ইসলাম শাকিল ওরফে চাপাতি শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন, এ এইচ এম কিবরিয়া, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা ও গোলাম মোস্তফা। এদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গত ২৩ ডিসেম্বর আসামি শাকিল, শাওন, এমদাদ ও নাহিদ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে।

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি সমর্থিত ১৮ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধের সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ একটি অবরোধবিরোধী মিছিল বের করে। মিছিলটি ভিক্টোরিয়া পার্ক অতিক্রম করার সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা মিছিলের পিছনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বিশ্বজিৎ দাশ দৌড় দিলে আসামিরা ধর ধর বলে তাড়া করে বিশ্বজিৎকে চাপাতি, লোহার রড দিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে রিপন নামের এক রিকশাওয়ালা বিশ্বজিৎকে নিয়ে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে যায়। সেখানে বিশ্বজিৎ মারা গেলে এই ঘটনায় মামলা হয়। এই মামলায় গত ৫ মার্চ ২১ আসামির বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক তাজুল ইসলাম।

 

 

সর্বশেষ খবর