রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

উত্তম যদি বৃত্ত হয় অর্ধেক সুচিত্রা

রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

উত্তম যদি বৃত্ত হয় অর্ধেক সুচিত্রা

যে সুচিত্রা সেনকে শুক্রবার সকালে মৃত ঘোষণা করা হলো, সেই সুচিত্রা সেন তো অনেক আগেই আমাদের জীবন থেকে চলে গেছেন। কারণ তিনি ছিলেন অন্তরালে। কিন্তু ছিলেন সবার মনের কোঠরে। সুচিত্রা সেনকে নিয়ে কী বলব? সুচিত্রা সেনের সবচেয়ে বড় গুণ যা অভিনয়কেও ছাপিয়ে উঠেছে সেটা হচ্ছে তার নক্ষত্র মহিমা। তিনি এত বড় তারকা! এই নক্ষত্র মহিমা কেউ তৈরি করতে পারে না। এটা কারও মধ্যে থাকে, কারও মধ্যে থাকে না। তিনি একটা যুগের প্রতিভূ। 

একই সঙ্গে উত্তম কুমারের নামটাও আমাদের বলতে হবে। কারণ সুচিত্রা হচ্ছেন অর্ধেক বৃত্ত, বাকি বৃত্তটি পূর্ণ করেছেন উত্তম কুমার। সেই স্বর্ণ যুগে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়েরও অবদান ছিল। তার গান না হলে সুচিত্রা-উত্তম জুটি যেন ঠিক জমত না। সুচিত্রা পাবনার মেয়ে। বাংলাদেশের মেয়ে। শেষ পর্যন্ত কলকাতায়। তার প্রথম নাম ছিল কৃষ্ণা। ঠাকুরদাদা রেখেছিলেন। তারপর তার বাবা নাম রাখেন রমা। তারও পরে সুচিত্রা। সুচিত্রা যখন একেবারে নিজের ক্যারিয়ারের শিখরে, তখন তিনি সেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান। তার শেষ ছবি 'প্রণয় পাশা'। আমার মনে হয় তার জীবনের কেন্দ্রীয় বার্তা এটাই যে, এই প্রচারের যুগে একজন প্রচারের আলো থেকে সরে গিয়েও, ক্যামেরা বিমুখ হয়েও, ব্যাপকভাবে থাকতে পারেন প্রচারে। 

শুক্রবার কলকাতা শহরে যে তোলপাড় হয়ে গেল, সেটা কেবল সুচিত্রা সেনের জন্যই হতে পারত। অবশ্য তিনি তো অনেক আগেই চলে গিয়েছিলেন, তিনি আর ছবিও করতেন না। গত ৩০ বছর তিনি নিজেকে আড়ালে রেখেছিলেন। তাই এটাকে তার দ্বিতীয় মৃত্যু বলা যেতে পারে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর