শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০১৪ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে কলেজ ছাত্র হত্যায় বন্ধুর ফাঁসি

চট্টগ্রাম আইন কলেজের ছাত্র আফসার হোসেন শামীমকে খুনের অভিযোগে তারই বন্ধু ইদ্রিস আলম বাবুলকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। গতকাল চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক রেজা তারিক আহমেদ এ রায় দেন। মামলায় অপর তিন আসামি আলী আজম খসরু, মনির হোসেন ও আবদুর রউফ ভুট্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২০ জুলাই নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি এলাকার বঙ্নগরের নিজ বাসা থেকে বন্ধু ইদ্রিস আলমের বাসায় যাওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন আফসার হোসেন শামীম। এর পর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। শামীমের পরিবার ইদ্রিস আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে অপর তিনজন খসরু, মনির ও ভুট্টু এক লাখ টাকা দাবি করে। নিখোঁজের দুই দিন পর রাউজানের বদুপাড়া এলাকা থেকে শামীমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ বাদল রায় বাদী হয়ে রাউজান থানায় একটি মামলা করেন। এর পর শামীমের বন্ধুদের মোবাইল ট্র্যাকিং করে পুলিশ খসরু, মনির ও ভুট্টুকে গ্রেফতার করে। তাদের স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ ইদ্রিস আলম বাবুলকেও গ্রেফতার করে। এ ছাড়া বাবুলের কাছ থেকে শামীমের মোবাইল এবং তার খালার বাসা থেকে শামীমের মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। বাবুল আদালতে জানায়, আর্থিক বিষয়ে নিজেদের মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে শামীমকে নগরীর বাকলিয়ায় বাসায় দাওয়াতের কথা বলে নিয়ে আসা হয়। সেখানে শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে লাশ ফেলে আসা হয় রাউজানে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে ২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০১৩ সালের ২৬ ?অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল আদালত রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আইয়ুব খান বলেন, ইদ্রিস আলম বাবুলই মূল খুনি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

সর্বশেষ খবর