রবিবার, ২২ জুন, ২০১৪ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে প্রতিপক্ষ ঘায়েলের নতুন অস্ত্র ফেসবুক

প্রতিপক্ষ ঘায়েলের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ফেসবুক! রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী বিরোধ, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রতিশোধ নিতে ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে একে-অপরের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছেন চট্টগ্রামের কয়েক ব্যক্তি। ফেসবুক অপপ্রচারের শিকার হয়ে অনেক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেও কার্যকর প্রতিকার পাচ্ছেন না। এ তালিকায় রয়েছেন ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক, রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। আর প্রতিদিনই ভিকটিমের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে দীর্ঘ হচ্ছে।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. কৌশিক দেব বলেন, 'সঠিক মনিটরিংয়ের অভাব ও দুর্বল সাইবার আইনের কারণে দেশে সাইবার ক্রাইম বাড়ছে। সাইবার ক্রাইমের জন্য সহজ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ফেসবুক, টুইটারসহ কয়েকটা জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের সাইট। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনিটরিং বাড়ালে সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে আসবে। একই সঙ্গে তা নিয়ন্ত্রণে কঠিন আইন করতে হবে।' সাইবার ক্রাইম নিয়ে কাজ করা চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক সন্তোষ চাকমা বলেন, 'ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের অস্ত্র হিসেবে ফেসবুককে ব্যবহার করা হচ্ছে। গত দুই মাসে এ ধরনের কমপক্ষে ১৫টি অভিযোগের ভিত্তিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সহায়তায় এরই মধ্যে কয়েকটি আইডি ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। ফেসবুক অপপ্রচারের শিকার হয়ে আবদুল ছাত্তার নামে এক ব্যবসায়ী পতেঙ্গা থানায় এবং মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। তিনি জানান, বেশ কিছু দিন ধরে 'সুশীল সমাজ' নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে তার নামে আপত্তিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছেন। ফেসবুক অপপ্রচার থেকে রক্ষা পেতে শেষ পর্যন্ত থানায় ও গোয়েন্দা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি।

গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক বিরোধ এবং প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রতিশোধ নিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ফেসবুককে। ফেসবুকে ভুয়া আইডি তৈরি করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে আপত্তিকর অপপ্রচার। এসব ভুয়া আইডি থেকে পরিচিত জনদের কাছে পাঠানো হচ্ছে অশ্লীল মেসেজ। ফটোশপে ছবি অ্যাডিট করে তা অশ্লীল ছবির সঙ্গে যুক্ত করে আপলোড করা হচ্ছে। ফলে সামাজিকভাবে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। ফেসবুক অপপ্রচারের শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এক সহপাঠী ছবি ব্যবহার করে আমার নামে তিনটি আইডি খুলে। এ আইডিগুলো থেকে আমার পরিচিত জনদের অশ্লীল মেসেজ পাঠাচ্ছেন ও অশ্লীল ছবি আপলোড করা হচ্ছে।'

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর