আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রবিবার যাতে আদালতে যেতে না হয় সে জন্যই হরতাল দেওয়া হয়েছে। হরতাল আহ্বানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে গতকাল ১৪ দলের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। বৈঠকে আগামী ২৫ নভেম্বর সিলেটে ১৪ দলের সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দিয়ে গোলাম আযমের জানাজা পড়ানোর বিপক্ষে ১৪ দল। কারাবন্দী কারও মৃত্যু হলে সাধারণত তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজন জানাজার নামাজ পড়ান। নিজামী ও সাঈদী সে রকম কেউ নন। তাই এ দাবির কোনো যৌক্তিকতা নেই। প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে গিয়ে কেবল ফটোসেশন করেন খালেদা জিয়ার এমন মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বেগম খালেদা জিয়া হতাশায় কখন কী বলছেন, সেটা বুঝতে পারছেন না। তিনি আমাদের কাছে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছেন। তার এই দৈন্য ও হীনমন্যতার জন্য আমার করুণা হয়। বেগম জিয়া মিথ্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। তিনি প্রতিনিয়ত মিথ্যা কথা বলে দেশ ও জনগণকে অপমানিত করছেন। বৈঠকে ১৪ দলের পক্ষ থেকে সিপিএ ও আইপিইউতে যথাক্রমে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী চেয়ারপারসন ও সাবের হোসেন চৌধুরী সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় সরকারকে অভিনন্দন জানানো হয়। মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আবদুস সোবহান গোলাপ, মৃণাল কান্তি দাস, ফজলে হোসেন বাদশা, সৈয়দ রেজাউর রশিদ খান, ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, নুরুর রহমান সেলিম, আনিসুর রহমান মল্লিক, ডা. শহীদুল্লাহ খান, লায়ন এম এ আউয়াল, লুৎফর রহমান, এস কে সিকদার প্রমুখ।