শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

সিলেটে রাজপথে মুখোমুখি আওয়ামী লীগ-জামায়াত

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দণ্ডাদেশের পর সিলেটের রাজপথে আওয়ামী লীগ-জামায়াত এখন মুখোমুখি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথমবারের মতো জেলায় দুই দল যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে রাজপথে নেমেছে। এর জের ধরে নিজামীর রায়ের পরপরই গত বুধবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে আওয়ামী লীগ-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। গতকালও রুদ্রমূর্তি নিয়ে উভয় দল রাজপথে ছিল। তবে পৃথক পৃথক স্থানে অবস্থান নেওয়ায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সিলেটের রাজপথে জামায়াত-শিবিরকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে, জামায়াতও ঘোষণা দিয়েছে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার সভা-সমাবেশে কেউ বাধা দিতে চাইলে তারাও ছেড়ে কথা বলবে না।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন ইস্যুতে সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষ হলেও সিলেট ছিল ব্যতিক্রম। বিভিন্ন সময় চোরাগোপ্তা হামলা হলেও প্রকাশ্যে কখনো উভয় দল সংঘর্ষে জড়ায়নি। কিন্তু মতিউর রহমান নিজামীর রায়ের পর জোরেশোরে মাঠে নেমেছে জামায়াত। যার জের ধরে গত বুধবার নগরীর কোর্ট পয়েন্টে উভয় দলের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষ হয়েছে।

হরতাল চলাকালে মারমুখী মনোভাব নিয়ে সিলেটের রাজপথে অবস্থান নিয়েছিল আওয়ামী লীগ-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। নগরীর কোর্টপয়েন্ট ও সুরমা পয়েন্ট এলাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘জামায়াত-শিবির পেলেই ধোলাই দিতে’ অবস্থান নেন। অন্যদিকে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরাও নগরীর পাঠানটুলা, দর্শনদেউড়ি, তেমুখী, আম্বরখানাসহ কয়েকটি এলাকায় ওতপেতে অবস্থান নেয়। তবে উভয় দলের অবস্থান পৃথক স্থানে হওয়ায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতাও ভূমিকা রেখেছে।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করাই এদের রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য। একের পর এক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন হতে থাকায় তারা সিলেটসহ সারা দেশে নাশকতা চালানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এদেরকে আর কোনোভাবেই সুযোগ দেওয়া হবে না। বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলেই রাজপথে তাদেরকে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, জামায়াত গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে জামায়াত অতীতে যেমন রাজপথে ছিল, এখনো আছে, আগামীতেও থাকবে। এর বিরুদ্ধে কেউ উগ্র, হিংস  ও অগণতান্ত্রিক আচরণ করলে জামায়াত ছেড়ে কথা বলবে না।

সর্বশেষ খবর