শিরোনাম
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা
ফলোআপ

জেল থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসীর নির্দেশে সাত্তার খুন

রাজধানীর হাজারীবাগের যুবদল নেতা আফজাল হোসেন সাত্তার ওরফে গলাকাটা ছাত্তার হত্যা মামলার আসামি মাসুদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গতকাল ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া মাসুদ তার ভাই হত্যার প্রতিশোধ নিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ধানমন্ডির শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন জেলে বসেই এ হত্যার পরিকল্পনা করে বলে দাবি করেছে র‌্যাব। গত রবিবার দুপুরে হাজারীবাগের ট্যানারি মোড়ের তিন মাজার মসজিদ এলাকার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় চামড়া ব্যবসায়ী ও সাবেক ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি আফজাল হোসেন সাত্তারকে। র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, ভোরে মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে মাসুদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। সে সাত্তার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে মাসুদের বড় ভাইকে সাত্তার ও তার ভাইয়েরা মিলে নবাবগঞ্জ এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করে। ভাই হত্যার প্রতিশোধ নিতে সাত্তারকে খুনের পরিকল্পনা করেন মাসুদ।
মাসুদ জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন জেলে বসেই সাত্তারকে হত্যার পরিকল্পনা করে। চার মাস ধরেই ইমনের ঘনিষ্ঠ হাজারীবাগের ইব্রাহীম খলিল বুলু এবং তাকে জেল থেকে মোবাইল ফোনে পরিকল্পনার দিকনির্দেশনা দেয় ইমন। আর তারই ধারাবাহিকতায় বুলু, লিংকন ও মাসুদ মিলে আফজাল হোসেন ওরফে গলাকাটা কাটা সাত্তারের ওপর নজরদারি শুরু করে। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে বুলু, মাসুদ ও লিংকন মরিয়া হয়ে ওঠে। পরে গনি নামক একজন শুটারকে এ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ইমনই জেলে থেকে সব নির্দেশনা দেয়। মাসুদ জানায়, গনির নিজের তিনটি অবৈধ অস্ত্র আছে বলে বুলু তাকে জানায়। এক্ষেত্রে সাত্তারকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করবে গনি। সম্পূর্ণ অপারেশন দলটি নিরাপদে অবস্থান নেওয়া এবং তাদের নিরাপদে এলাকা ত্যাগ করার বিষয়টি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব ছিল মাসুদের। মাসুদ আরও জানায়, এ ঘটনায় গনি সর্বপ্রথম গলাকাটা সাত্তারকে গুলি করে। হত্যার পর সবাই যার যার মতো পালিয়ে যায়। ইতিমধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে বুলুকে পুলিশ গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর