শিরোনাম
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফাটল বাড়ছে

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফাটল বাড়ছে

বঙ্গবন্ধু সেতুর নিচের দিকে ধরা পড়া ক্ষুদ্রাকৃতির ফাটল -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশের বৃহত্তম স্থাপনা বঙ্গবন্ধু সেতুর ভিতরের অংশে ফাটলের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে সেতুর নিচে দশমিক ৬ মিলিমিটার প্রস্থে এবং সাড়ে ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে ১৩টি ফাটল রয়েছে। ফাটলগুলো খালি চোখে দেখা দুষ্কর। ভারী ট্রাক ও রেল চলাচলে ঝাঁকুনি এবং কম্পনের কারণেই এসব ফাটলের আকৃতি বাড়ছে বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)। ফাটল মেরামতে বিশাল অঙ্কের খরচও পড়বে। ইতিমধ্যে ফাটল মেরামতে নিজেদের অর্থের পাশাপাশি সরকারের কাছে আরও প্রায় ১১৫ কোটি টাকার বরাদ্দ চেয়েছে বিবিএ। সূত্র জানায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন উদ্বোধনের পর সেতুটি ১০০ বছর টেকসই হবে বলে কোরিয়ান হুন্দাই কোম্পানি থেকে বলা হলেও মাত্র আট বছর পর ২০০৬ সালে সেতুর ওপরে ও নিচে এমনকি ভিতরের বক্সের মধ্যেও চিকন চিকন ফাটল দেখা যায়। গত বছর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি অব চায়নাকে (সিসিসিসি) দিয়ে বিবিএ পৌনে তিন শ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুর উপরিভাগে ফাটল মেরামত করে। আমদানিকৃত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ই-পক্সি আঠা ও সাদা সিমেন্টের অ্যাসফল্ড বা ইমালশন দিয়ে সেতুর উপরিভাগে ফাটল মেরামত করা হয়। সেতু রক্ষণাবেক্ষণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেটারোলজিক্যাল কনস্ট্রাকশন কোম্পানি অব চায়নার প্রধান প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক জানান, সেতুর নিচের পৃষ্ঠে সব কটি বক্সের মধ্যে নানা ধরনের ফাটল রয়েছে। বিবিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, সেতুর উপরিভাগের ফাটলগুলো মেরামতের কাজ ফলপ্রসূ হওয়ায় দীর্ঘ সময় পর্যবেক্ষণের পর ভিতরের অংশেও ফাটল মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিবিএর প্রধান প্রকৌশলী কবির আহম্মেদ বলেন, ফাটল মেরামতে এরই মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তিনি বলেন, কংক্রিটের যে কোনো স্থাপনায় এ ধরনের চিকন চিকন ফাটল দেখা যেতে পারে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর