মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে আজ। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গতকাল রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করেন। উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২০ আগস্ট থেকে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। জামিন বাতিল করে ওই দিন কায়সারকে কারাগারে পাঠানো হয়। শুনানিতে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে দাবি করে কায়সারের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে প্রসিকিউশন। আর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি দাবি করে অভিযুক্তের খালাস চেয়েছে আসামি পক্ষ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, আটক, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৬টি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি কায়সারের বিচার শুরু হয় ট্রাইব্যুনালে।
অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৭ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া (তৎকালীন কুমিল্লা মহকুমা) সদরের পুলিশফাঁড়ি ও ইসলামপুর গ্রামের কাজিবাড়ীতে শাহজাহান চেয়ারম্যানকে হত্যা, নায়েব আলীকে জখম এবং লুটপাট করেন কায়সার ও তার সহযোগীরা। ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার (তৎকালীন মহকুমা) মাধবপুর বাজারের পশ্চিমাংশ ও পার্শ্ববর্তী কাটিয়ারায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন আসামি ও তার লোকজন। এ সময় প্রায় ১৫০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার (তৎকালীন মহকুমা) মাধবপুর থানার কৃষ্ণনগর গ্রামের অহিদ হোসেন পাঠান, চেরাগ আলী, জনাব আলী ও মধু সুইপারকে হত্যা করেন আসামি ও তার লোকজন। তাদের বাড়িঘরে লুটপাটের পর অগ্নিসংযোগ করা হয়। কায়সার ও তার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৮ এপ্রিল হবিগঞ্জের মাধবপুর বাজারের উত্তর-পূর্ব অংশে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় তারা পূর্ব মাধবপুরের আবদুস সাত্তার, লালু মিয়া ও বরকত আলীকে হত্যা করেন এবং কদর আলীকে জখম করেন। ১১ মে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার চাঁদপুর চা-বাগানে সাঁওতাল নারী হীরামণিকে ধর্ষণ করে কায়সার বাহিনীর সদস্যরা। কায়সার এ ধর্ষণে সহায়তা করেন।