মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

পায়রায় হচ্ছে ফোর লেন

পায়রায় হচ্ছে ফোর লেন

প্রস্তাবিত পায়রাবন্দর থেকে পটুয়াখালী মহাসড়ক পর্যন্ত ফোর লেন সংযোগ সড়ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, সীমিত পরিসরে যে বন্দরের কার্যক্রম আগামী মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা। সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যে এরই   মধ্যে জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন চেয়ে নৌ- পরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত ১৭ ডিসেম্বর পায়রাবন্দর কর্র্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) ক্যাপ্টেন মো. সাইদুর রহমান, বিএন নৌ-পরিবহন সচিব শফিক আলম মেহেদির কাছে এ সংক্রান্ত চিঠিটি পাঠান। জানতে চাইলে শফিক আলম বলেন, পায়রাবন্দরের কার্যক্রম শুরু করা সরকারের অগ্রাধিকার কাজের মধ্যে একটি। এজন্য প্রস্তাবিত বন্দরের পাশাপাশি সড়ক অবকাঠামো নির্মাণেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করতে চাই আমরা। চিঠিতে বলা হয়েছে, পায়রাবন্দরকে জাতীয় মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগের লক্ষ্যে ফোর লেন বিশিষ্ট রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওই রাস্তা নির্মাণের জন্য পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় রজপাড়া ও ইটাবাড়িয়া মৌজার প্রায় ৫৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা প্রয়োজন। চিঠিতে আরও বলা হয়, পায়রাবন্দরে সীমিত পরিসরে অপারেশনাল কার্যক্রম আগামী মার্চ, ২০১৫-এর মধ্যে শুরু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে এরইমধ্যে চ্যানেলে বিভিন্ন ধরনের বয়া স্থাপন, লাইটহাউস নির্মাণ, ভিএইচএফ কন্ট্রোল স্টেশন স্থাপন এবং প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্য এক চিঠিতে জমি অধিগ্রহণের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলা হয়, পায়রাবন্দরে আগত জাহাজ থেকে মালামাল খালাস করে সড়কপথে ও নদী পথে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। সড়কপথে মালামাল পরিবহনের জন্য বর্তমানে পায়রাবন্দরের সঙ্গে জাতীয় মহাসড়কের কোনো সংযোগ সড়ক নেই। চার লেন সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণ না করতে পারলে পায়রাবন্দর থেকে মালামাল জাতীয় মহাসড়ক হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন সম্ভব হবে না। এছাড়া পায়রাবন্দরকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যতে বিভিন্ন ধরনের শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। সেসব শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মালামাল পরিবহনের জন্যও বন্দরের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর