বুধবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা
একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

বাইপাসের পরিবর্তে উড়াল সড়কের চিন্তা

আগামীতে বাইপাস সড়কের পরিবর্তে উড়াল সড়ক করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। বাইপাস সড়কের চেয়ে উড়াল সড়ক নির্মাণের খরচ কম বলেই আগামীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে উড়াল সড়ক নির্মাণের কথা ভাবা হচ্ছে। তবে নির্মাণের খরচ পর্যালোচনা করেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। কৃষি জমি বাঁচাতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। একই জায়গায় উড়াল সড়ক ও বাইপাস সড়ক নির্মাণের তুলনামূলক খরচ পর্যালোচনার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশনা দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সভায় প্রধানমন্ত্রী সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে উদ্দেশ করে বলেছেন, একই জায়গায় বাইপাস সড়ক নির্মাণের খরচের চেয়ে যদি উড়াল সড়ক নির্মাণের খরচ কম হয়, তবে আগামীতে বাইপাস সড়কের পরিবর্তে উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে। প্রয়োজনে উড়াল সড়ক তত্ত্বাবধায়নের জন্য টোলও নির্ধারণ করা যেতে পারে। অন্যদিকে হতদরিদ্রদের মধ্যে ভিজিডি কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের ঘুষ নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয় একনেক সভায়। সভায় ভিজিডি প্রকল্প অনুমোদনের সময় কৃষিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এই কার্ড নেওয়ার জন্য চেয়ারম্যানদের ১ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সব চেয়ারম্যান ঘুষ নেয় তাদের তালিকা করেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি আগামীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে কোনো ভবন বা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ না করারও নির্দেশনা দেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকালের সভাটি ছিল ২০১৫ সালের প্রথম একনেক সভা।
পাঁচ প্রকল্প অনুমোদন : গতকাল একনেক সভায় ১ হাজার ৩৫৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার ৫টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৩টি নতুন এবং ২টি সংশোধিত। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে বিদ্যমান বেইলি ব্রিজগুলোর আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে গেছে। ফলে বেইলি ব্রিজ ভেঙে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে। এ জন্য একনেক সভায় খাগড়াছড়ির পুরনো ও ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজের জায়গায় পিসি গার্ডার ও আরসিসি সেতু এবং আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। জানুয়ারি ২০১৫ থেকে ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত এর বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে। এ ছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও একটি পাঁচতলা ছাত্র হল ও একটি পাঁচতলা ছাত্রী হল নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য একটি দশতলা কোয়ার্টার নির্মাণ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করবে। তিনি আরও বলেন, সরকার সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালি ও বেলকুচি উপজেলায় ২১ হাজার দুস্থ মহিলাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরপর এদের ১৫ হাজার টাকা করে থোক বরাদ্দ দেওয়া হবে যাতে তারা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হতে পারে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৫-২০১৮ মেয়াদে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে অভিনন্দন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে ২০১৫ সালের শ্রেষ্ঠ কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর মনোনীত হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর