শিরোনাম
বুধবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা
পজেটিভ বাংলাদেশ

চুরি রোধে ‘ইলেকট্রিক সিকিউরিটি গার্ড’

চুরি রোধে ‘ইলেকট্রিক সিকিউরিটি গার্ড’
প্রযুক্তিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিল সিরাজগঞ্জের তরুণ উদ্ভাবক মোর্শেদুল ইসলাম সনেট। বন্ধ দোকান-ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও বাসায় কেউ চুরি করতে প্রবেশ করলে সঙ্গে সঙ্গে মালিকের ফোনে কল বেজে উঠবে। মালিক তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন। যন্ত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইলেকট্রিক সিকিউরিটি গার্ড’। এর আগে সেচ পাম্প বন্ধ এবং চালু করার যন্ত্র ও মোটরসাইকেল চুরি রোধে জিপিএ স্ট্যাকিং যন্ত্র উদ্ভাবন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তরুণ এ উদ্ভাবক। সনেট সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়া বেড়া ইউনিয়নের চাঁদ মেটুয়ানী গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৩য় সেমিস্টারে লেখাপড়া করছেন। পিতার চাকরির কারণে তিনি নারায়ণগঞ্জের এ.এস বদরুজ্জোহা স্কুল থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস ও ঢাকা বিএফ শাহিন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ছুটির সময় গ্রামের বাড়িতে গেলে তার বাসায় চুরি হয়। তখনই সে ভাবতে থাকেন চুরিরোধে একটি যন্ত্র উদ্ভাবনের কথা। পরে বাবা-মার উৎসাহে তিনি যন্ত্রটি উদ্ভাবনে সক্ষম হন। সনেট জানান, যন্ত্রটি তৈরি করতে একটি মোবাইল ও একটি সিমকার্ডের প্রয়োজন হয়। এরপর ৯ ভোল্টের এডাপটার, ২২০ ভোল্টের ব্যাটারি, সার্কিট, জিরো পাওয়ারের বাল্ব দিয়ে ডিভাইস তৈরি করা হয়। ডিভাইসের ভিতরে রক্ষিত মোবাইলের মেইলবক্সে ব্যবসা বা বাসার মালিকের একটি নম্বর বা একাধিক মোবাইল নম্বর সেভ করে রাখা হয়। ডিভাইসের সঙ্গে একটি ক্ষুদ্রাকৃতি লেজার ও এলডিআর সংযুক্ত করা হয়। লেজার থেকে আলোক রশ্মি বের হয়ে এলডিআরে ফেলানো হয়। দরজা বা জানালার একপাশে লেজার ও অন্যপাশে এলডিআরটি গোপনভাবে স্থাপন করা হয়। যদি কোনো ব্যক্তি দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে তবে লেজার থেকে বের হওয়া সূক্ষ্ম আলোক রশ্মিটিতে বাধা পড়বে। তিন সেকেন্ড সময়ে আলোকরশ্মিটি বাধা পাওয়া মাত্রই সার্কিট অ্যাকটিভ হয়ে রক্ষিত মোবাইলে সিগন্যাল পাঠিয়ে দিবে। তখন মালিকের নম্বরে অটোমেটিক কল বেজে উঠলেই বোঝা যাবে প্রতিষ্ঠানে কেউ ঢুকে পড়েছে। তাৎক্ষণিক সে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
 সনেট আরও জানান, ডিভাইসের সঙ্গে একাধিক লেজার ও এলডিআর সংযুক্ত করা যাবে। এমনকি কাচের টুকরো ব্যবহার করে আলোকরশ্মির দিক পরিবর্তন করে ঘর বা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি জানালা বা দরজায় সিকিউরিটি সিস্টেম চালু করা সম্ভব। যন্ত্রটি তৈরি করতে ১ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়। সরকারি বা বেসরকারি কোনো সংস্থার সহায়তা পেলে এ প্রযুক্তিটি দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।

সর্বশেষ খবর