শিরোনাম
বুধবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

দুই বাসের চাপায় প্রাণ গেল তিনজনের

বেপরোয়া দুই বাসের মাঝে চাপা পড়েন সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালকসহ দুই যাত্রী। নিহতরা হলেন- এম এম হোসেন উদ্দিন (৩৫), প্রদীপ কুমার মজুমদার (৪০) ও নজরুল ইসলাম (৩২)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর উত্তরা হাউজ বিল্ডিংয়ের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, নিহত হোসেন রাজধানীর উত্তরার সেক্টর-১১ এর ১৪ নম্বর রোডে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি নড়াইল। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুরে পারসিটি নামের একটি কারখানায় প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মৃত প্রদীপ একই কারখানার ম্যানেজার। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। হোসেন ও প্রদীপ গুলশান থেকে গাজীপুর কারখানায় যাচ্ছিলেন। নিহত নজরুল অটোরিকশাচালক। তিনি খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া এলাকায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে। পুলিশ ও অন্যান্য সূত্র জানায়, বিআরটিসি ও সুপ্রভাত পরিবহন (ঢাকা মেট্রো জ-১১-২৮৯২) নামে অপর একটি বাস বেপরোয়া গতিতে উত্তরা যাচ্ছিল। উত্তরা হাউজ বিল্ডিং নর্থ টাওয়ারের সামনে বিআরটিসির বাসটি সুপ্রভাত পরিবহনের বাসকে ওভারটেক করতে থাকে। এ সময় সুপ্রভাত পরিবহনের বাসটিও গতি বাড়িয়ে দেয়। দুটি বাস পাশাপাশি বেপরোয়া গতিতে এগিয়ে যেতে থাকে। এ সময় দুটি বাসের মাঝে চাপা পড়ে যাত্রীবোঝাই সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি চ্যাপ্টা হয়ে যায়। এতে অটোরিকশা চালকসহ ভেতরে বসা দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হন। আহতদের উত্তরার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মঈনুল কবির জানান, এ ঘটনায় ঘাতক দুই বাসকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি বিআরটিসির চালক মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়। তবে সুপ্রভাতের চালক পলাতক। তাকে ধরতে অভিযান চলছে।

সর্বশেষ খবর