শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবার ঢল ছিল না

প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে লাখো জনতার ঢল থাকলেও এবার তেমনটি লক্ষ্য করা যায়নি। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, জঙ্গি তৎপরতায় জনমনে আতঙ্কের কারণেই এমনটি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সকালে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় স্মৃতিসৌধ। এরপর একে একে বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফুল দিতে আসেন। তবে জনসাধারণের সমাগম অন্যান্যবারের তুলনায় কম ছিল। আওয়ামীপন্থি সংগঠনগুলোর পদচারণা বেশি থাকলেও বিএনপিপন্থি সংগঠনগুলোর তৎপরতা তেমন দেখা যায়নি। এছাড়া শ্রদ্ধা জানাতে আসা অধিকাংশ সংগঠনের সঙ্গে তেমন সদস্যের উপস্থিতি দেখা যায়নি। অন্য বছরগুলোতে প্রতিটি সংগঠনের সঙ্গে শতাধিক সদস্যের উপস্থিতি দেখা গেলেও এবার ১০-২০ জনের বেশি সদস্য লক্ষ্য করা যায়নি। অন্যদিকে দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটে অতর্কিত পেট্রলবোমা হামলা ও ককটেল আতঙ্কে অবরোধকে উপেক্ষা করে অনেকেই তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে আসেননি। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া স্মৃতিসৌধে না আসায় দলের অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতা-কর্মীও আসেননি বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, ম্যাডাম আসেননি তাই আমরাও ততটা অনুপ্রেরণা পাইনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রহমান মনে করেন, প্রথমত দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। এছাড়া দেশের জঙ্গি তৎপরতা সাম্প্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পাশাপাশি প্রায় ৭০ ভাগ জনগোষ্ঠীর সমর্থন দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে রয়েছে। এর মধ্যে একটি বড় দল এই মুহূর্তে পার্লামেন্টে নেই, আন্দোলনে আছে। এর ফলে তাদের সমর্থিত লোকদের মধ্যে হতাশা বা আতঙ্ক কাজ করছে। এসবই স্মৃতিসৌধে উপস্থিতির হার কম হওয়ার কারণ হতে পারে।
স্মৃতিসৌধে যাননি খালেদা জিয়া : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে গতকাল জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাননি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনেও যাননি বিএনপির কোনো নেতা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান জানান, চেয়ারপারসন অবরুদ্ধ থাকায় এবং দলের আর কেউ বঙ্গভবনের অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ায় তিনি নিজেও যাননি।

সর্বশেষ খবর