বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা
ভারত-বাংলাদেশ স্থলসীমান্ত চুক্তি

দ্রুত কার্যকারিতা চেয়ে মোদি সরকারকে চিঠি

স্থলসীমান্ত চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়েছে ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি। কেন্দ্রের সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু এবং লোকসভার অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজনকে লেখা আলাদা দুটি চিঠিতে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত হওয়া এই দ্বিপক্ষীয় আন্তর্জাতিক চুক্তিটি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে।

ছিটমহলবাসীদের নাগরিকত্বের দাবিতে গত কয়েক দশক ধরে কীভাবে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি লড়াই করছে তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন কমিটির সহকারী সম্পাদক (ভারতীয় অঞ্চলের) দীপ্তিমান সেনগুপ্ত। গতকাল সেনগুপ্ত জানান 'এই দুটি দেশ স্থলসীমান্ত চুক্তিটি যদি কার্যকর করতে পারে সেক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনার শিকার হওয়া ছিটমহলবাসীদের জীবনে অন্য মাত্রা এনে দেবে'। একই ইস্যুতে কয়েকদিন আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও চিঠি দেয় এই কমিটি। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বহু প্রতীক্ষিত ছিটমহল সমস্যার দ্রুত সমাধান চেয়ে ইতিমধ্যে ছিটমহল পরিদর্শন করে গেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ছিটমহল নিয়ে নরম অবস্থান নিয়েছে এক সময়ের বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসও। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা সফরকালেই তৃণমূলের প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে আশ্বস্ত করে বলেছেন 'দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তির সম্পাদনের ক্ষেত্রে তার সরকার কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না'। প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সালের ১৬ মে দিল্লিতে স্বাধীন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এই দ্বিপক্ষীয় আন্তর্জাতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। বাংলাদেশের পক্ষে শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু সে সময়ও এই চুক্তি রূপায়িত হয়নি। এরপর এই সমস্যা মেটাতে ফের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ওই প্রটোকল স্বাক্ষর করেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত স্থলসীমা চুক্তি সংক্রান্ত ১১৯তম সংবিধান সংশোধনী বিলটি পেশ করা যায়নি। যদিও বর্তমান সরকার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বেই এই চুক্তি সংশোধনী বিলটি পাস করাতে বদ্ধপরিকর। চুক্তি কার্যকর হলে ভারত বাংলাদেশকে মোট ১১১টি ছিটমহলের জন্য ১৭ হাজার ১৬০ একর জমি দেবে, অন্যদিকে বাংলাদেশ ৫১টি ছিটমহল বাবদ মোট ৭ হাজার ১১০ একর জমি হস্তান্তর করবে ভারতকে।

 

সর্বশেষ খবর