বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

পাহাড়তলীর রাজার খবরে তোলপাড় চট্টগ্রাম

রেলওয়ের জমি অবৈধভাবে দখল করে নেওয়া নিয়ে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তোলপাড় হয়েছে পুরো চট্টগ্রামে। 'পাহাড়তলীর রাজা হিরণ' শিরোনামের প্রকাশিত কাহিনী পড়বার জন্য পাহাড়তলী ও আশপাশের কয়েকটি এলাকায় দিনভর পত্রিকার ফটোকপি বিক্রি হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনগণ এ প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, এ ধরনের প্রতিবেদন দখলদারদের গালে চপেটাঘাত। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেশ ও জনগণের জন্য এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ জানানো হয়। এ বিষয়ে আরও অনেকে তথ্য দিতে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ প্রতিদিন অফিসে আসার আগ্রহ প্রকাশও করেছেন। একইভাবে মুঠোফোনেও বাংলাদেশ প্রতিদিনকে ধন্যবাদ জানান অনেক পাঠক। এদিকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীসহ রেলওয়ের জায়গা অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি। তিনি বলেছেন, প্রতিবেদনটি আমি দেখেছি। 'পাহাড়তলীর রাজা হিরণ' বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর ও যাচাই-বাছাই করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি আরও বলেন, রেলে অবৈধ স্থাপনাকারীদের উচ্ছেদ করার বিষয়টি একটি চলমান প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যে অনেক উচ্ছেদ অভিযানও পরিচালনা করা হয়েছে। কারা এসব স্থাপনা করছেন, কেউ নেপথ্যে জড়িত আছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রেলকে আরও গতিশীল করতে বিশেষভাবে খোঁজখবর রাখছেন। জানা যায়, প্রকাশিত সংবাদটি চট্টগ্রামের সিআরবি, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ও পাহাড়তলী রেলস্টেশন, ঝাউতলা, আমবাগান, ঢাকাসহ পুরো রেল অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া তোলে। চট্টগ্রামের একাধিক রেল কর্মকর্তা-কর্মচারী নাম না প্রকাশের শর্তে বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে মন্তব্য করেন, সরেজমিনে না গেলে সত্য ঘটনা পাওয়া যায় না। ছবিতেই অনেক ঘটনা ফুটে উঠে, কারা বৈধ না অবৈধভাবে রেলের জায়গায় দোকানপাট নির্মাণ করছে। এটাই মূলত আসল চিত্রের একটি অংশ। ওই দখলদারের হাতে আরও অবৈধ জমি রয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় এই হিরণ নেপথ্যে থেকে তার বাহিনীর মাধ্যমে কৌশলে দখল-বেদখল করে চলেছে প্রতিনিয়ত। প্রতিবাদ করলেই ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হুমকি, ভাঙচুর ও মিথ্যা মামলা করছে। রেল অঙ্গনের বিভিন্ন স্থানে হকারের কাছে থাকা বাংলাদেশ প্রতিদিনের কপি বিক্রি শেষ হয়ে গেলে স্থানীয়রা পত্রিকার ফটোকপি বিক্রি করতে দেখেন বলে জানান স্থানীয় হকার রফিকুল আলম। এদিকে গতকাল রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি সংক্ষিপ্ত এক দিনের সফরে চট্টগ্রামে আসেন। এতে রেলের দুটি প্রকল্প নবনির্মিত চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ইয়ার্ড রি-মডেলিং কাজ ও কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট রেলসেতু পরিদর্শন করেন। এ সময় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. মোজাম্মেল হক, চিফ ইঞ্জিনিয়ার কামরুল আহসান, সিসিএম বেলাল উদ্দিন, বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মো. জসিম উদ্দিন, বিভাগীয় বাণিজ্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রমুখ। এর মধ্যে দুপুরে রেলের কর্মকর্তা ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

সর্বশেষ খবর