বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে যুবক নিহত

মিরপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মিলন আহমেদ (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত মিলন উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের লক্ষ্মীধড়দিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে। মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী জালাল উদ্দিন দাবি করেন, সোমবার রাতে চুনিয়াপাড়া মাঠের কাছে সড়কের ওপর গাছ ফেলে একদল ডাকাত ডাকাতির চেষ্টা করছিল। খবর পেয়ে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা ১৮ রাউন্ড গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মিলনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মিলনকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি করাত ও চারটি রাম দা উদ্ধার করেছে। এদিকে, নিহত মিলনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার দাবি করেন, শনিবার রাত ১০টার দিকে সাদা পোশাকধারী মিরপুর থানার এসআই আবদুল হালিম ও এএসআই আতিকুজ্জামান চৌধুরী বাড়ির পাশে একটি ওরস অনুষ্ঠান থেকে মিলনকে ধরে নিয়ে যায়। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি সাজানো নাটক। সোমবার দুপুরে মিলনের স্ত্রী ইয়াসমীন আক্তার কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে এসে জানান, ওরস অনুষ্ঠানে গান শুনতে গিয়েছিলেন তার স্বামী। তার কাছে তামাক বিক্রির ২৫ হাজার টাকাও ছিল। পরে বার বার ধরনা দেওয়া হলেও মিলনকে আটকের কথা পুলিশ অস্বীকার করে। ইয়াসমীন জানান, ছয় মাস আগে মিলনকে আটক করেছিলেন এসআই আবদুল হালিম। সে সময় তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আবদুল হালিম ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। মিলনের বোন ফেরদৌসি জানান, স্থানীয় প্রতিপক্ষ তার ভাইকে খুন করায়। আরেক ভাই সাইফুল ইসলাম মুকুলকেও খুন করে একই চক্র। মুকুল হত্যা মামলায় জাকারিয়া, ইউনুস, জিয়ারুল, জুলফিকার ও মানুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এরপর থেকে মিলনকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল ওই চক্রটি। জীবন বাঁচাতে মিলন দুবাই চলে যান। পরে দেশে ফিরে তামাকের ব্যবসা শুরু করেন। ওই চক্রের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ভাইকে হত্যা করে বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজাচ্ছে পুলিশ।

 

সর্বশেষ খবর