মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

জমবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের লড়াইও

ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার কাউন্সিলর প্রার্থীরাই নির্বাচন জমিয়ে তুলেছেন। তিন সিটিতে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ১৮৮ জন। এর মধ্যে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ২৪৯ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৮৯১ জন প্রার্থী হয়েছেন। এ নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচন জমজমাট করে তুলেছেন।
কয়েকদিন ধরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মিছিল, সমাবেশ, মাইকিংসহ প্রচার অভিযানে কাউন্সিলর প্রার্থীদের তৎপরতা চোখে পড়েছে সবচেয়ে বেশি। কোনো কোনো ওয়ার্ডে প্রার্থীর সংখ্যাধিক্যে ভোটাররা পড়েছেন বিভ্রান্তিতে। একটি ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ১৬ জন পর্যন্ত প্রার্থী রয়েছেন। পুরুষের পাশাপাশি পিছিয়ে নেই নারী প্রার্থীরাও। ঢাকা উত্তরের সংরক্ষিত ১২ নম্বর আসনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ১১ নারী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মেয়র নির্বাচন নিয়ে যাই হোক কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। এখানে রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াও গুরুত্ব পাবে ব্যক্তি ইমেজও। তবে অধিকাংশ ওয়ার্ডে লড়াইয়ের মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এ ছাড়াও জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরাও রয়েছেন। বিশেষ করে চট্টগ্রাম সিটিতে জামায়াতের প্রার্থীরা সক্রিয় প্রচারণা চালিয়েছেন। সূত্র জানায়, এবার রেকর্ড সংখ্যক কাউন্সিলর প্রার্থী ভোটের মাঠকে বেশ জমিয়ে তুলেছেন। ঢাকার উত্তর সিটির ৩৬টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হবেন ৩৬ জন। অথচ ৩৬টি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৮৩ জন। এই সিটিতে সংরক্ষিত আসন রয়েছে ১২, যার বিপরীতে লড়ছেন ৯০ জন নারী প্রার্থী। একই অবস্থা ঢাকার দক্ষিণ সিটিতেও। আজকের ভোটে এখানে ৫৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন। অথচ লড়ছেন ৩৯১ জন। আর এ সিটির সংরক্ষিত আসন ১৯টি। এর বিপরীতে প্রার্থী রয়েছেন ৯৭ জন। চট্টগ্রাম নগরীর চিত্রও ভিন্ন নয়। চট্টগ্রামে ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের বিপরীতে লড়ছেন ২১৭ জন। এ ছাড়া ১৪টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের বিপরীতে নারী প্রার্থী রয়েছেন ৬২ জন। এবারের নির্বাচনে স্বাভাবিকভাবেই কাউন্সিলরদের ভোট নিয়ে বেশ আলোচনার ঝড় উঠেছে। প্রচারণায় প্রার্থীরা নানা কৌশল অবলম্বন করেছেন। রাস্তাঘাটে গণসংযোগ, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চেয়েছেন তারা। প্রচারণার জোয়ারে সচেতন কিংবা অসচেতণভাবে অনেকেই আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন। কাউকে দেখা গেছে ব্যান্ড পার্টি নিয়ে মিছিল করতে, আবার কেউবা নিয়ম ভেঙে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাইকিংয়ের মাধ্যমে ভোট চেয়েছেন। প্যারোডি গানে সুরে সুরে ঝড় তুলেছে অনেকে। দেখা গেছে যখন যে মেয়র প্রার্থী যে ওয়ার্ডে ভোট চাইতে গেছেন সেখানে যুক্ত হয়েছেন ওই দলসমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী। মেয়র প্রার্থীর ছত্রছায়ায় নিজের প্রতীকেও ভোট চেয়েছেন তারা। ঢাকা এবং চট্টগ্রামে তিন সিটিতেই আওয়ামী লীগ-বিএনপির একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী মাঠ চষে বেড়িয়েছেন। দলের সমর্থন না পেয়েও ভোট যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন অনেকে। এর আগে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে এত বেশি প্রার্থী ও প্রতিযোগিতা দেখা যায়নি।

সর্বশেষ খবর