মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা
ঐতিহ্য

বিলীন হওয়ার পথে নারী নওয়াবের স্মৃতিচিহ্ন

বিলীন হওয়ার পথে নারী নওয়াবের স্মৃতিচিহ্ন

উপমহাদেশের একমাত্র নারী নওয়াব ছিলেন ফয়জুন্নেসা। তিনি অন্ধকার সময়ে শিক্ষা বিস্তার করে অন্ধকারকে বিতাড়িত করেছিলেন। শিক্ষাবিদদের ভাষায় তিনি ছিলেন, ‘আলোর ফেরিওয়ালা’। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার পশ্চিমগাঁওয়ে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে এ মহীয়সী নারীর স্মৃতিচিহ্ন জমিদার বাড়িটি সংরক্ষণের অভাবে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। খসে পড়ছে এর পলস্তারা। সরেজমিন দেখা যায়, দক্ষিণমুখী মূল বাড়িটি। পশ্চিম-দক্ষিণ পাশে বৈঠকখানা। বাড়ির পশ্চিমপাশে মসজিদ, ঈদগাহ, কবরস্থান ও নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ। মসজিদ লাগোয়া কবরস্থানেই নওয়াব ফয়জুন্নেসা এবং তার পরিবারের সদস্যদের কবর রয়েছে। নওয়াব ফয়জুন্নেছার পঞ্চম বংশধর (মেয়ে বদরুন্নেসার দিকের) সৈয়দ মাসুদুল হক জানান, ১৮শ’ শতকের মাঝামাঝিতে বাড়িটি নির্মিত। ফয়জুন্নেছার বিয়ের এক লাখ এক টাকা দেনমোহরের টাকা দিয়ে এটি করা হয়। নওয়াব ফয়জুন্নেসা ১৮৩৪ সালে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার পশ্চিমগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আহমেদ আলী চৌধুরী। পাশের বরুড়া উপজেলার গাজী চৌধুরীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তার দুই মেয়ে আরশাদুন্নেসা ও বদরুন্নেসা। ১৮৫৫ সালে ফয়জুন্নেসার মা মারা যান। মাতৃ বিয়োগের পর তিনি বিশাল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন। ১৯০৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এ মহীয়সী নারীর মৃত্যু হয়। মাসুদুল হক দাবি করেন, নওয়াব ফয়জুন্নেছার জীবনী যেন জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফয়জুন্নেসার বাড়িটিও সরকারি উদ্যোগে সংরক্ষণ করা উচিত। প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লার কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, নওয়াব ফয়জুন্নেছার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আমরা অবগত। তার বাড়িটি সংরক্ষণ করে জাদুঘরে রূপ দেওয়া যায় কিনা তা পরিদর্শন করে দেখা হবে।

 

সর্বশেষ খবর