মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

সারা দেশে ফের মৃদু ভূমিকম্প

উদ্ধারে পদক্ষেপ কী : হাইকোর্ট

দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল সন্ধ্যায় আবারও মাঝারিমানের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে পরপর তিনদিন দেশে ভূমিকম্প আঘাত হানল। সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে অনুভূত এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল বাংলাদেশ সীমান্তের কাছেই ভারতের মিরিকে। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১। কম্পনের কেন্দ্র ছিল ভূ-পৃষ্ঠের ৬৭ কিলোমিটার গভীরে।
এর আগে গত রবিবার রাত ১০টা ২৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, এটির কেন্দ্রস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৬৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে নেপালের নগর কোর্ট এলাকায়। কেন্দ্রস্থলে রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৩। এর আগের দিন শনিবার প্রথম দফার ভূমিকম্প হয়। শনি ও রবিবারের ভূমিকম্পে বাংলাদেশে সাতজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বেশ কিছু ভবনে ফাটল দেখা দেয়। হেলে পড়ে কয়েকটি ভবনও।
আমাদের বগুড়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বগুড়ায় গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্প শুরু হয়ে প্রায় ৪ সেকেন্ড স্থায়ী হয়। এেেত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহরের মার্কেট ও আবাসিক এলাকার বাসাবাড়ি থেকে লোকজন আতঙ্কে বেরিয়ে পড়েন রাস্তা ও ফাঁকা জায়গায়।
ইডেনের ছাত্রীহলে ফাটল : ভূমিকম্পে ঢাকা ইডেন কলেজের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ২৯টি কক্ষে ফাটল দেখা দেওয়ায় ছাত্রীরা হল ছেড়েছেন। গতকাল দুপুরে কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পাওয়ার পর ছাত্রীরা হল ছাড়তে শুরু করেন। বিকাল ৪টার মধ্যে হলটি খালি করা হয়। ১১ তলাবিশিষ্ট এই হলে ১ হাজার ২০০ ছাত্রী থাকেন। ২০১৩ সালে এই ছাত্রাবাসের নির্মাণকাজ শেষ হয়। আগে থেকেই কিছু ভবনে ফাটল থাকলেও পর পর দুই দিনের ভূকম্পনে ছাত্রীহলটির ২৯টি কক্ষে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে ছাত্রীরা জানান। অধ্যক্ষ হোসনে আরা বলেন, ভূমিকম্পের কারণে কক্ষে ফাটল দেখা দেওয়ায় নিরাপত্তার কারণে সাত দিনের জন্য ছাত্রীদের হল ছাড়তে বলা হয়েছে। প্রধান প্রকৌশলী ছাত্রাবাসটি পরীক্ষা শেষ করলে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
উদ্ধারে পদক্ষেপ কী : দেশে ভূমিকম্প-পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম নিয়ে উচ্চ আদালতের রায় সম্পর্কে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই ভূমিকম্প-পরবর্তী উদ্ধারকাজে সহায়ক বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কেনার ব্যাপারে একটি রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ সরকার কেনেনি। কী কী যন্ত্রাংশ কেনা হয়েছে সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন ১২ মে’র মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর