বুধবার, ৬ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা
একনেকে ১০ প্রকল্প অনুমোদন

রামপালে হবে বিমানবন্দর মহিপালে ফ্লাইওভার

যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে মহিপালে ৩৭০ মিটার দৈর্ঘ্য ৬ লেনের ফ্লাইওভার নির্মাণ করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ফেনী-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক দুটি ফেনীর মহিপালে মিলিত হয়েছে। এ প্রকল্পসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১০টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে, ১ হাজার ৯১০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ১ হাজার ৭৯৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল ১১৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। তবে মহিপালে ৬ লেনের ফ্লাইওভার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৮ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের জুন মেয়াদে ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হবে। একনেক সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ১৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ফেনীর মহিপালে ৬ লেনের ফ্লাইওভারসহ ১০টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বাগেরহাটে খানজাহান আলী (রহ.) বিমানবন্দরের চূড়ান্ত অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, সেখানে বিমানবন্দর স্থাপিত হলে সুন্দরবন, ষাটগম্বুজ মসজিদ এবং খানজাহান আলীর মাজারকে কেন্দ্র করে পর্যটনশিল্প প্রসারিত হবে। এদিকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে বাগেরহাটের রামপালে খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। সরকার আশা করছে, এর ফলে বৃহত্তর খুলনায় ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ, পর্যটনশিল্পের প্রসার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত হবে। ২০১৮ সালের জুন নাগাদ এ নির্মাণ কাজ শেষ হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৪৯০ কোটি টাকা। বাকি ৫৪ কোটি টাকা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে দেবে। পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাগেরহাটে এখন মংলা বন্দর, ইপিজেড, চিংড়ি শিল্প ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ঘিরে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ হবে। ফলে দরকার হয়ে পড়বে দ্রুত যোগাযোগ নেটওয়ার্কের। খানজাহান আলী বিমানবন্দর থেকে খুলনা শহর ও মংলা সমুদ্রবন্দর উভয়েরই দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। আশা করছি এখানে বিমানবন্দর হলে সুন্দরবন, ষাটগম্বুজ মসজিদ, খানজাহান আলীর মাজারকে কেন্দ্র করে পর্যটনশিল্প প্রসারিত হবে। এ ছাড়াও উপকূলীয় অঞ্চলে দ্রুত ত্রাণকার্যও এ বিমানবন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে। পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় ১৬৩ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ, ৭,২০,১৭৩ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন, ৭০০০ মিটার রানওয়ে ও ৪০০০ মিটার ট্যাঙ্ওিয়ে এবং ১৮,৫৬৪ বর্গমিটার আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর