জিয়া চ্যারিটেবল ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ২৫ মে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কারা অধিদফতরে প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার গতকাল এ আদেশ দেন। এ দিন খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হননি। তার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন। আদালত সে আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর আদালতের নির্দেশে খালেদার অনুপস্থিতিতেই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তা হারুনুর রশিদের জেরা শুরু করেন খালেদার আইনজীবীরা। ২৫ মে পর্যন্ত এ মামলার কার্যক্রম মুলতবি করা হয়েছে। আদালতে খালেদার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়াসহ তিন আসামিকে জামিন দিয়ে ও আসামি পক্ষের চারটি আবেদন মঞ্জুর করে মামলা দুটির শুনানি ৫ মে পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত। ওইদিন খালেদার উপস্থিতিতে তার সঙ্গে জামিন পেয়েছেন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অন্য দুই আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। দীর্ঘদিন শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ৪ মার্চ এ গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল রাখেন আদালত।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামি মোট ছয়জন। খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, কাজী সালিমুল হক কামাল, শরফুদ্দিন আহমেদ, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অন্য তিন আসামি হলেন হারিছ চৌধুরী, জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং মনিরুল ইসলাম খান। জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান জামিনে রয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।