‘বন্দুকযুদ্ধে’ খুলনা ও জয়পুরহাটে তিনজন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ভূতগাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি নিহতরা ডাকাত দলের সদস্য। বন্দুকযুদ্ধে তারা নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
জয়পুরহাটের ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মাহফুজার রহমান জানান, রাতে পাঁচবিবি-শিরট্রি সড়কের ভূতগাড়ী নামক স্থানে নিয়মিত টহল দেওয়াকালে একদল ডাকাত অতর্কিত পুলিশের ওপর গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার জগন্নাতপুর গ্রামের আবদুস সালাম (৪৫) ও জয়পুরহাটের পুরানাপৈল গ্রমের মৃত রইচ উদ্দিনের পুত্র বাবু (৪৬) নামের দুজন মারা যায়। রমেশ চন্দ্র বৈশাকু নামের আহত অপর এক ডাকাতকে জয়পুরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে গত রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আল মামুন (৩৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় পিটুনিতে আহত হন ফারুক হোসেন (২৪) নামে আরেক যুবক। হতাহতদের গতকাল দুুপুরে খুলনা মহানগরীর রায়পাড়া ক্রস রোডে জাপানি বাড়ির কাছ থেকে তিনটি পিস্তল, একটি রিভলবার ও ২৩ রাউন্ড গুলিসহ পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। আহত ফরুককে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খুলনা সদর থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নিহত আল মামুন ও আহত ফারুক হোসেন অস্ত্র ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। তাদের গতকাল দুপুর সোয়া ১টার দিকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়। খুলনা সদর থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের কাছে আরও আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা আছে বলে স্বীকার করেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুজনকে নিয়ে নগরীর বাগমারার বুড়ির বাগান এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার গেলে সেখানে ওতপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় আল মামুন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। আল মামুন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বর্ণি গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে। তিনি নগরীর খালিশপুর থানার নয়বাটির জনৈক নুরুজ্জামানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। আহত ফারুক হোসেন নগরীর হরিণটানা এলাকার জনৈক শামসুল হকের ছেলে।