শুক্রবার, ২৯ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

বার কাউন্সিল নির্বাচন ১৩ আগস্ট

আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৩ আগস্ট। বার কাউন্সিলের সচিব ও তিন প্রার্থীর করা আবেদনের নিষ্পত্তি করে গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সচিবকে ভোটার তালিকা সংশোধন করে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে তা প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। নির্বাচন পর্যন্ত বার কাউন্সিলের বর্তমান কমিটি দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন। এর আগে বার কাউন্সিলের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদনের ওপরে ২৪ মে শুনানি হয়। শুনানি শেষে এ বিষয়ে ২৮ মে আদেশের দিন ধার্য করা হয়। একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২১ মে বার কাউন্সিল নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ২৭ মে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে বার কাউন্সিলের সচিব (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ আলতাফ হোসাইন এবং আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এ জে মোহাম্মদ আলী, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং মো. বদরুদ্দোজা বাদল পৃথকভাবে দুটি আবেদন করেন। এ ছাড়া সরকার সমর্থক প্যানেলের প্রার্থী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ এবং বার কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ রেজাউর রহমান ও জাহিদুর রহমান ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত করে নির্বাচনের নির্দেশনা চেয়ে দুটি আবেদন করেন। এসব আবেদনের ওপরে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর এবং অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী।
বার কাউন্সিল নির্বাচনের তফসিল, ভোটার তালিকা এবং ২০০৩ সালের সংশোধিত বার কাউন্সিল আইনের ৩ নম্বর ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ একটি রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ মে আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ২১ মে আদালত রুলসহ আদেশ দেন। এর আগে ৪ মে বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘বার কাউন্সিল নির্বাচনে দ্বৈত ভোটারের ছড়াছড়ি’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ১০ মে নির্বাহী কমিটির পাঁচ জন সদস্যের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বার কাউন্সিল আইনের ৩০ বিধিমতে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা সংশোধন’ প্রসঙ্গে আলোচনার জন্য জরুরি সভা ডাকা হয়। ১২ মে ওই সভার সিদ্ধান্তক্রমে ভোটগ্রহণের তারিখ ২০ মে থেকে পিছিয়ে ২৭ মে নেওয়া হয়। ২৫ মার্চ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ৯ এপ্রিল সারা দেশের ৪৮ হাজার ৪৬৫ জন ভোটারের নাম সংবলিত একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করে বার কাউন্সিল। ওই তালিকায় দেখা যায়, দুই বা ততধিকবার (বহু ভোটার)  ভোটার হিসেবে তালিকায় নাম প্রকাশিত হয়েছে এমন আইনজীবীর সংখ্যা অনেক।

সর্বশেষ খবর