রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়ায় তুরাগ থানার এক নারী পুলিশ কনস্টেবলকে গণধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই নারী কনস্টেবলের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ওই পরীক্ষার ফরেনসিক প্রতিবেদনে গণধর্ষণের প্রমাণ পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, ঘটনার ছয় দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়কারী ডা. বিলকিস বেগম জানান, প্রতিবেদন তাদের হাতে এসেছে। এতে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। এর আগে বুধবার পুলিশের এএসআই কলিমুর রহমান ও তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ওই নারী কনস্টেবল। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনার শিকার নারী কনস্টেবলের সাবেক স্বামী। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মামলা করেন ঘটনার শিকার কনস্টেবলের বোন। কিন্তু ছয় দিনেও পলাতক কলিমুর রহমানকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। খিলগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজ ভূইয়া বলেন, ‘একজনের দায় পুরো বাহিনী নেবে না। তাকে একজন আসামির চেয়ে গুরুত্ব দিয়ে খোঁজা হচ্ছে। কারণ এটা আমাদের বাহিনীর ইমেজের বিষয়। আশা করি তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’