শিরোনাম
শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

জনগণের ভয়ে নির্বাচন দিতে চায় না সরকার : খালেদা

জনগণের ভয়ে সরকার নির্বাচন দিতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, বিদেশিরা বলছেন, বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। অতি দ্রুত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা এত লুটপাট-চুরি-খুন-খারাবি করেছে যে তারা মানুষের ভয়ে, বিচারের ভয়ে আজ ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। তারা জনগণের ভয়ে নির্বাচন দিতে চায় না। নির্বাচন দিলে তাদের ভরাডুবি হবে। গতকাল রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীর ‘জলসাঘর’ মিলনায়তনে ২০-দলীয় জোট শরিক ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে এক টেবিলে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী ছাড়াও ছিলেন জাতীয় পার্টির কাজী জাফর আহমদ, বিএনপির নজরুল ইসলাম খান ও ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা আবদুর রকীব, মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ ফয়েজুল্লাহ। খালেদা জিয়া বলেন, মানুষ কীভাবে তাদের প্রত্যাখ্যান করবে তা সিটি নির্বাচনে শুধু একটুখানি দৃষ্টান্ত দেখিয়ে দিয়েছে। ওই নির্বাচন যদি সুষ্ঠুভাবে হতে পারত, ভোটাররা জবাব দিত। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, দেশটাকে সরকার কারাগারে পরিণত করেছে। সাধারণ মানুষ বলেন আর রাজনৈতিক নেতা-কর্মী বলেন সবাই আজ বন্দী। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের লোকজন যতই অত্যাচার-জুলুম-অনাচার-চুরি-ডাকাতি-খুন-খারাবি করুক না কেন, তারা সবাই বহাল তবিয়তে আছেন। তারা সবাই ফ্রি। বিচার বিভাগ দলীয়করণের অভিযোগ আবারও তুলে ধরে তিনি বলেন, জনগণের ভরসা ছিল বিচার বিভাগের ওপর। আজ একে দলীয়করণের ফলে সেখানে ন্যায়বিচার পাওয়া যায় না। ?সুবিচার পাওয়া যায় না। এখানে বিচার করা হয় কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি, কে ২০-দলীয় জোট বা অন্যান্য বিরোধী দল তা বিবেচনা করে। বিএনপি-প্রধান বলেন, বিএনপি ও ২০ দলের নেতা-কর্মী হলে অপরাধ না করলেও অপরাধী হয়ে কারাগারে মরতে হয়। আর আওয়ামী লীগের লোকেরা আল্লাহ-নবী-রসুল (সা.)-কে অপমান করুক, দেশের মানুষকে অত্যাচার করুক, খুন করুক, তার পরও তারা বিচারের ঊর্ধ্বে থাকে। তাদের ধরাও হয় না, তাদের জেল-জুলুমও হয় না। সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে লুটপাট ও জমি দখলের অভিযোগ করে এর সমালোচনা করেন খালেদা জিয়া। ইফতারে অংশ নেন জোট নেতা আমীনুল ইসলাম, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, শফিউল আলম প্রধান, খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জেবেল রহমান গানি, আজহারুল ইসলাম, গরীবে নেওয়াজ, এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, সাঈদ আহমেদ, সাইফুদ্দিন মণি, সালাহউদ্দিন মতিন প্রকাশ, মাওলানা শেখ মজিবুর রহমান।

সর্বশেষ খবর