বুধবার, ৮ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

সোনামণিরাও সাজবে ঈদের সাজে

সোনামণিরাও সাজবে ঈদের সাজে

ঈদের কেনাকাটা নিয়ে বড়রা না যতটা উচ্ছ্বসিত থাকে তার চেয়ে বেশি উৎসুক থাকে শিশু-কিশোররা। আর এ কারণে ঈদ এলে ছোটদের কেনাকাটা পায় অগ্রাধিকার। ছোটদের কিনে দিয়ে তবেই বড়রা নিজেদের কেনাকাটা সারেন। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার ঈদ বাজারে মেয়েশিশুরা পার্টি ফ্রকের প্রতি বেশি আগ্রহী। এ ছাড়া কিশোরীদের পছন্দের তালিকায় আছে ‘কিরণমালা’ সালোয়ার কামিজ। আর ছেলেশিশুদের ক্ষেত্রে কার্টুন চরিত্রের বিভিন্ন পোশাকের বিক্রি যেমন আছে তেমনি পাঞ্জাবির বিক্রিও ভালো। কিশোররা শর্ট ও সেমি শর্ট পাঞ্জাবির পাশাপাশি কলার দেওয়া টি-শার্ট ও থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্টে আগ্রহী। তবে বিক্রেতারা জানান, গরমের জন্য এবার শিশুদের পোশাকে সুতির ব্যবহার বেশি করা হয়েছে। রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, ইস্টার্ন প্লাজা, নিউমার্কেট, রাপা প্লাজা, অর্কিড প্লাজা, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি ও যমুনা ফিউচার পার্কসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ছোট ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে বড়দের পোশাকের পাশাপাশি ডামি পুতুলের গায়ে ছোটদের বিভিন্ন পোশাক সাজিয়ে রাখা হয়েছে। নগরীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে ঈদ উপলক্ষে ছোট মেয়েশিশুদের জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের পার্টি ফ্রক আনা হয়েছে। হালকা রঙের ফুলেল নকশার শিশুদের এ পার্টি পোশাকগুলোয় পুঁতি, স্টোন ও জরির কারুকাজ করা হয়েছে। এ শপিং মলের লেভেল-৭-এ ইনফিনিটিতে এক বছর থেকে শুরু করে ১২ বছর পর্যন্ত বয়সী মেয়েশিশুদের ঘের দেওয়া বিদেশি পোশাক আনা হয়েছে। ইনফিনিটির বিক্রয়কর্মীরা জানান, ২ হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত এ পোশাকগুলো বিক্রি হচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, শিশুদের পাঞ্জাবির দাম শুরু ৫৫০ থেকে ৩ হাজার টাকা, টি-শার্ট ১৫০ থেকে ৫০০ টাকা, ফতুয়া ২৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, সালোয়ার-কামিজ ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। মিরপুরের সাবরিনা খাতুন গতকাল গাউছিয়া মার্কেটে তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়–য়া কন্যা সামিয়াকে নিয়ে এসেছিলেন ঈদের পোশাক কিনতে। মেয়ের জন্য তিনি সালোয়ার-কামিজ দেখছিলেন। কথা হলে সামিয়া জানায়, ঈদে সে এবার ‘কিরণমালা’ নামের সালোয়ার-কামিজ কিনবে। কারণ তার অন্য বান্ধবীরাও এবার এ পোশাকটি কিনেছে। সাবরিনা জানান, তার মেয়ে নিজেই ঈদে নিজের পোশাক পছন্দ করে নিতে চায়। মাও তাই মেয়ের আবদার পূরণ করতে কিরণমালা পোশাক খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ ছাড়া নিউমার্কেটে বাচ্চাদের পোশাকের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন কার্টুন চরিত্র যেমন- সুপারম্যান, স্পাইডারম্যান, বার্বিডল ইত্যাদির স্ক্রিন প্রিন্টের শার্ট-প্যান্ট ও ফ্রকের চাহিদা বেশি। ছেলেশিশুরা শার্টের সঙ্গে মিলিয়ে জিন্স ও গ্যাবার্ডিনের থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট কিনছে। আর মেয়েশিশুদের জন্য ঘের দেওয়া কারুকাজ করা পার্টি ড্রেসগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৬ হাজার টাকায়। এর সঙ্গে ঘাগরা, লং ফ্রক ইত্যাদি পোশাকও ভালো বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ঈদে বুটিক হাউসগুলো শিশুদের পোশাকে সুতি ব্যবহারে প্রাধান্য দিয়েছে। বিশেষ করে আড়ং, কে-ক্রাফট, নগরদোলা ও যাত্রায় বিভিন্ন বয়সী শিশুর জন্য সুতির ফ্রক, শার্ট, স্কার্ট ইত্যাদি তৈরি করা হয়েছে। কিছু দোকানে মেয়েশিশুদের জন্য আনা হয়েছে শাড়ি। জানতে চাইলে কে-ক্রাফটের বিক্রয়কর্মীরা জানান, গরমে এবার ক্রেতারা বাচ্চাদের জন্য সুতির তৈরি পোশাক কেনায় বেশি আগ্রহী। তারা জানান, ২ থেকে ১২ বছর বয়সী মেয়েশিশুদের জন্য সুতির সালোয়ার-কামিজ তৈরি করা হয়েছে। এতে স্ক্রিন প্রিন্ট ও হ্যান্ড অ্যামব্রয়ডারির কাজ করা হয়েছে। দাম ১ থেকে ২ হাজার টাকা। এ ছাড়া ছেলেদের তৈরি সুতির পাঞ্জাবিতে স্ক্রিন প্রিন্টের কাজ করা হয়েছে। দাম ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা। ফ্যাশন হাউস লা রিভে শিশুদের জন্য হাজার টাকার মধ্যে বিভিন্ন নকশার ঈদ পোশাক আনা হয়েছে। এর মধ্যে ছেলেদের জন্য কার্টুন আঁকা টি-শার্ট, স্ট্রাইপের টি-শার্ট এবং প্রিন্টের থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট আনা হয়েছে। আর মেয়েশিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে জর্জেটের হাতা কাটা টিউনিক ও ফ্রক।

সর্বশেষ খবর