বুধবার, ৮ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা
তরল কোকেন আমদানি

চার রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে সতর্ক করলেন আদালত

তরল কোকেন আমদানির ঘটনা তদন্তের স্বার্থে পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ করার জন্য সরকারি চার সংস্থা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া জব্দের সময় সংস্থাগুলোর প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাকে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মহানগর হাকিম ফরিদ আলম উপকমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তা নির্ধারণের জন্য পুলিশ কমিশনারকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এ সঙ্গে সবাই মিলে আলামত জব্দ ও মালামাল সংগ্রহের সময় তদন্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কোনো পক্ষের কর্তব্য পালনে শৈথিল্য মনোভাব দেখা গেলে তাদের বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ অবমাননাসহ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে। এসব নির্দেশের মধ্য দিয়ে মহানগর হাকিম মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের দাখিল করা দুটি পৃথক আবেদনের নিষ্পত্তি করেছেন। আদালত আদেশে আরও বলেছেন, এ মামলা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এখানে দুটি পক্ষ আছে- রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষে তদন্ত কর্মকর্তা মামলার তদন্ত করছেন। কাস্টমস, বন্দর, শুল্ক গোয়েন্দা এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে তদন্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করতে হবে। আদালত আদেশের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট চার সংস্থা, পুলিশ কমিশনার, নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার এবং তদন্ত কর্মকর্তাকে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান বলেন, আদালত পুলিশের ডিসি এবং সংশ্লিষ্ট চার বিভাগের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাকে আলামত জব্দের সময় হাজির থাকতে বলেছেন। আলামত জব্দ ও মামলার উপকরণ সংগ্রহের পর সিলগালা করার সময় প্রত্যেককে স্বাক্ষর করতে বলেছেন। আর গুরুত্বপূর্ণ এ মামলার তদন্ত নিয়ে পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।
কোকেন আমদানি মামলার আলামত সংগ্রহ : তেলের নামে আনা ১০৭ ড্রাম থেকে মামলার আলামত সংগ্রহ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। গত সোমবার চট্টগ্রাম বন্দরে গিয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার কামরুজ্জামান এ আলামত সংগ্রহ করেন।

সর্বশেষ খবর