সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

ফরিদপুর রাজনীতির হালচাল

গোছানো-সংহত আওয়ামী লীগ

জেলা আওয়ামী লীগ এখন গোছানো, পরিপাটি ও সংহত রাজনৈতিক দল। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে এ জেলায় তেমন উন্নয়ন হয়নি। তাই এবার জেলার উন্নয়নের দিকে নজর দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ফরিদপুর জেলা। তার একক প্রচেষ্টায় গত কয়েক বছরে নতুন রূপ পেয়েছে ফরিদপুর।
মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা, ফরিদপুর স্টেডিয়ামের আধুনিকায়ন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ১ হাজার শয্যায় উন্নীতকরণ, শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বেশ কয়েকটি নতুন ভবন নির্মাণ, আধুনিকমানের পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ, নতুন স্থানে নির্বাচন কার্যালয় ভবন, ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, এক যুগ বন্ধ থাকা ফরিদপুরের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ চালু, শহরে সড়ক ডিভাইডার ইত্যাদি অনেক কাজ হয়েছে সাবেক প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী, বর্তমানে এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের হাত ধরে। জেলা আওয়ামী লীগে একসময় কোন্দলে দলটির নেতা-কর্মীরা ছিলেন জর্জরিত। বহু ভাগে বিভক্ত ছিলেন তারা। দলের অনেক নেতাই একজনের মুখ আরেকজন দেখতেন না। দলীয় কোন্দল একটা সময় এতটাই তীব্র হয়ে উঠেছিল যে, রাজপথে এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে প্রকাশ্যে গালিগালাজসহ চ্যালেঞ্জ-পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিত। কোন্দলের কারণেই ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের কোনো এমপি প্রার্থী জয়ী হতে পারেননি। সে অবস্থা এখন আর নেই। সবকিছু সামাল দিয়ে শক্ত হাতে দলকে গুছিয়ে আনা হয়েছে। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করার কারণেই এখন আওয়ামী লীগে গ্রুপিং নেই বললেই চলে। তবে দলের হাতে গোনা কয়েকজন নেতা এখনো রাজনীতিবিমুখ। কী কারণে তারা রাজনীতিবিমুখ- এমন প্রশ্ন করা হলে তারা বলছেন, রাজনীতি এখন আর ভালো লাগে না। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের দল পুরনো রাজনৈতিক দল। এ দলে গ্রুপিং থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমাদের মুরব্বি, ফরিদপুরের অভিভাবক ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন শক্ত হাতে সবকিছু সামাল দেওয়ার কারণেই আজ দলে কোনো প্রকার গ্রুপিং নেই। ফরিদপুর জেলা একেবারেই অবহেলিত একটি জেলা। এখানে উন্নয়ন হয়নি। এলজিআরডি মন্ত্রীর কথা একটাই- ফরিদপুরের উন্নয়ন করতে হবে। তিনি দলের জন্য স্থায়ীভাবে একটি অফিস করে দিয়েছেন। এটা আমাদের নেতা-কর্মীদের জন্য বড় পাওয়া। আমরা উন্নয়ন দিয়েই বুঝিয়ে দিতে চাই, আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে উন্নয়ন হয়।’

সর্বশেষ খবর