সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

জামায়াত-জাপায় স্থবিরতা

একটা সময় ফরিদপুর জেলায় জামায়াতে ইসলামীর বেশ প্রভাব ছিল। পাঁচটি আসনেই তারা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী দিত। দলটির বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার বাড়ি ছিল এ জেলাতেই। আর এ কারণে জামায়াতের প্রভাব দিন দিন বেড়েই চলছিল। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দলের বেশকিছু নেতার সাজা কার্যকর হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে নেমে এসেছে চরম হতাশা। হতাশা এতটাই নেমে এসেছে যে, দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল থাকার পরও দলটির নেতা-কর্মীদের মাঠে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হলেও এ নিয়ে দলটির নেতা-কর্মীরা কোনো কর্মসূচি পালন করেননি। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্থবির; তাই এবারে রমজানে ইফতার পার্টিও দেয়নি দলটি। রাজপথে একেবারেই দেখা মেলে না দলের কোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে। বর্তমান সরকারের আমলে প্রথম দিকে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে থাকলেও তারা এখন একেবারেই দৃশ্যপটের বাইরে। নেতারা বেশির ভাগই এখন গাঢাকা দিয়ে রয়েছেন। কেউ কেউ রাজনীতি বাদ দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড না থাকলেও দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গোপন যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। জামায়াতের পথেই হাঁটছে ফরিদপুর জেলা জাতীয় পার্টি। দীর্ঘদিন ধরে দলের সম্মেলন না হওয়ায় এবং পদ আঁকড়ে থাকা নেতাদের কারণেই দলটি অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম একেবারে শূন্যের কোঠায়। দলের বেশির ভাগ নেতাই এখন ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে মিশে গেছেন। জাতীয় কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় না। দলটির সভাপতি নাজমুল হাসান নসরু ও সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াহিয়াই কোনো রকমে টিকিয়ে রেখেছেন দলটি। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড না থাকায় দলের কর্মীরা ভিড়ছেন আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে। জাকের পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ফরিদপুর জেলায় মাঝেমধ্যে তাদের কর্মসূচি পালন করলেও সংগঠন হিসেবে মজবুত নয়। অন্য দলগুলোর কমিটি আছে বটে, তবে তা খাতা-কলমেই সীমাবদ্ধ।

সর্বশেষ খবর