সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

হালতি বিলে পর্যটকের ঢল

হালতি বিলে পর্যটকের ঢল

নাটোরের অথৈ জলরাশির হালতি বিলে পর্যটকের ঢল নেমেছে। ঈদুল ফিতরের পর থেকে এ অবস্থা চলছে। প্রতিদিন দুপুরের পর মানুষের ভিড় বাড়ছে। বিকালে তা মানুষের মহা-মিলনমেলায় পরিণত হচ্ছে।
গতকাল খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে, দ্বিতীয় আশুলিয়া-খ্যাত এই রিভারভিউ দেখার জন্য সব বয়সী মানুষ ভিড় করছেন। পর্যটকদের সুবিধার জন্য এই বিলের মধ্য দিয়ে নির্মিত হয়েছে একটি নতুন রাস্তা। এ রাস্তায় সমুদ্রসৈকতের আমেজ। দুই পাশে পানি আর পানি। মাঝে রাস্তায় ছোট-বড় ঢেউ আছড়ে পড়ে। পা ভিজে যায়। বর্ষাকাল বলে হালতি বিল এখন অথৈ সমুদ্রের মতো। পাশে রেললাইনের ধারে ছোট ছোট গ্রামগুলো ডুবো ডুবো প্রায়। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে পাড়ে। দেখা যায়, পানির ওপর ভাসমান রাস্তায় হাঁটছেন অগণিত মানুষ। কেউ কেউ দল বেঁধে বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নৌকায় চেপে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিলের মধ্যে। এ সময় নাটোরের কলেজ শিক্ষক আবদুস সালাম ও তার স্ত্রী কামরুন নাসরিন শাপলা অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, শহরের জীবন রুটিন বাঁধা। এক ঘেয়েমিতে ক্লান্তি আসে। হালতি বিলে এসে মনটা অনেকখানি প্রফুল্ল হয়েছে। রাজশাহী শহরের আবু জাহিদ বিয়ে করে স্ত্রী মুনিরাকে নিয়ে হালতি বিলে বেড়াতে এসেছেন। দারুণ ভালো লাগছে বলে জানালেন তিনি। ঢাকার সুমী ও জিয়া এসেছেন টেলিভিশনের খবর দেখে। তাদের মন্তব্য, ঢাকার আশুলিয়ায় আসে অধিকাংশ ধনী পরিবারের সদস্যরা। আর এখানে প্রায় সবাই সাধারণ মানুষ। স্থানীয় ভ্যানচালক আবুল হোসেন জানান, তিনি খুব খুশি। কারণ তার আয় বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। আগে দিনে ৭০ থেকে ৮০ টাকা আয় হতো। এখন হচ্ছে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। নৌকার মাঝি কাদির উদ্দিন জানান, এখন প্রতিদিন আয় হচ্ছে গড়ে ৮ শতাধিক টাকা। এত বাইরের মানুষকে তিনি আগে কখনো এ এলাকায় আসতে দেখেননি। হাজার হাজার মানুষের ঢল নামায় এখানে হকারের ভিড় বেড়েছে।
মুড়ি, বাদাম, চানাচুর, ফল, বিস্কুট, লজেন্স, চকলেট, পান-সিগারেট, চা এমনকি চুড়ি-মালা-কসমেটিক্সের পসরা সাজিয়ে বসেছেন অনেকে। বিক্রি হচ্ছে বেশ। নাটোর শহর থেকে হালতি বিলের দূরত্ব ৮ কিলোমিটার। রিকশা ভাড়া ৫০ টাকা। ৬/৭ জনে একটি অটোরিকশা রিজার্ভ করলে লাগে ২০০ টাকা। ঢাকা থেকে নাটোর নন-এসি ৩৫০ টাকা এবং এসি কোচে ভাড়া ৫০০ টাকা।

সর্বশেষ খবর