শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

হত্যার সাক্ষীকে অস্ত্র মামলার আসামি বানাল সিআইডি

চট্টগ্রামে হত্যা ঘটনার সাক্ষী যুবলীগের এক নেতাকে অস্ত্র মামলার আসামি বানানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-এর বিরুদ্ধে। ঘটনার শিকার মাহমুদুল হক সাতকানিয়া উপজেলার ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ও এওচিয়া ইউপির মেম্বার।
অভিযোগ অস্বীকার করে সিআইডির পরিদর্শক ওবায়দুল হক বলেন, ‘আনোয়ারা হত্যা মামলার তদন্ত বাধাগ্রস্ত এবং মামলার গতি পরিবর্তন করতে মাহমুদুলের পরিবার অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা যে অভিযোগ করছে তা সত্য নয়।’ এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির পরিদর্শক ওবায়দুল হক জানান, চলতি বছরের শুরুতে এওচিয়া ইউনিয়নের বৃদ্ধ হাফিজুর রহমানকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করতে গেলে লক্ষ্যভ্রষ্ট গুলিতে হাফিজুরের ছেলের শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম নিহত হন। এ ঘটনায় হাফিজুর রহমানের সঙ্গে জোট বেঁধে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহমুদুল হক প্রতিপক্ষ নজরুল ইসলাম মানিককে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। মামলাটি পরে পুলিশের কাছ থেকে সিআইডিতে আসার পর ৫ আগস্ট মাহমুদুল হকসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, প্রতিপক্ষ মানিককে ফাঁসানোর জন্য হাফিজুর রহমানকে হত্যা করতে গিয়ে মিস টার্গেটে তার ছেলের শাশুড়িকে হত্যা করে। এরপর দ্বিতীয় দফা ১৭ আগস্ট এক দিনের রিমান্ডে আনা হলে মাহমুদুল স্বীকার করেন যে, তার বাড়িতে অস্ত্রের মজুদ রয়েছে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পরে মাহমুদুলের বাড়ির পাশের ডোবা থেকে প্লাস্টিকে মোড়ানো অবস্থায় একটি টুটু রাইফেল, দুটি টুটু একে ম্যাগজিন, ছয়টি টুটু বোরের গুলি, তিনটি এলজি, সাতটি বন্দুকের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। মাহমুদুল হকের ছোট ভাই জসিম উদ্দিন জানান, ‘আনোয়ারা বেগম হত্যা মামলার জব্দ তালিকার সাক্ষী ছিলেন মাহমুদুল হক। মামলা দায়েরের কয়েক দিনের মধ্যেই মামলার অন্যতম আসামি মো. হোসেন জুনুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে এ খুনের সঙ্গে মানিক, জসিম উদ্দিন, ফকির ও করিম জড়িত ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু এ ঘটনার অন্যতম আসামি নজরুল ইসলাম মানিকের কাছ থেকে সিআইডি মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়ে মাহমুদুল হককে জড়ানোর চেষ্টা করছে।’ অস্ত্র উদ্ধারকে সিআইডির সাজানো নাটক দাবি করে মাহমুদুল হকের ছোট ভাইয়ের বউ রাশেদা বেগম বলেন, ‘সিআইডির অভিযান চালানোর আগে মানিকের সহযোগী আজিজুল হক অস্ত্রের বস্তাটি মাহমুদুলের বাড়ির পাশে রেখে যান। পরে সিআইডি অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে তা মাহমুদুলের বলে প্রচার করে।’ বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম হত্যা মামলার বাদী হাফেজ আহমেদ বলেন, ‘আমার ছেলের শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম হত্যা মামলার সাক্ষী ছিলেন মাহমুদুল হক মেম্বার। পরে তাকে কেন সিআইডি গ্রেফতার করেছে জানি না।’

সর্বশেষ খবর