আগামী ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষীদের জেরার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল চারজন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার পরবর্তী তারিখের এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলার জব্দ তালিকার স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার নওশাদ মোহাম্মদ, রিলেশনশিপ ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম ও কাস্টমার সার্ভিসেস ম্যানেজার অলোক কান্তি চক্রবর্তীকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন। ১৫ অক্টোবর সাক্ষীরা আদালতে তাদের জবানবন্দি পেশ করেছিলেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে সাক্ষীদের জেরা করেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুর রেজ্জাক খান। এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ১৭ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেন। গতকাল নতুন করে আরও চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এরা হলেন- সোনালী ব্যাংক ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট শাখার ক্যাশ অফিসার ওয়ালিদ আহমেদ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. মামুনুজ্জামান, মেট্রো মেকার্স অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের সাবেক সিনিয়র অফিসার সাইফুল আলম ও মেট্রো মেকার্স কর্মকর্তা চৌধুরী এম এন আলম। পরবর্তী তারিখে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করবেন। খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে থাকায় আদালতে হাজির হতে না পারায় তার পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ও তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ হাজিরা প্রদান করেন। এ ছাড়া উচ্চ আদালতে লিভ টু আপিল থাকায় আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ মূলতবি রাখেন আদালত। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে রমনা থানায় দুদক মামলাটি করে। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে। আর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।