বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা
প্রযুক্তি

রাজশাহীতে হচ্ছে হাইটেক পার্ক

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

রাজশাহীতে হচ্ছে হাইটেক পার্ক

দেশের মোবাইল অপারেটর-গুলোর মাধ্যমে থ্রিজি ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও তা প্রধান  প্রধান শহরেই সীমাবদ্ধ। জেলা কিংবা উপজেলাপর‌্যায়ে এখনো উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া দুর্লভ। ফলে আইটি এ সেক্টরে রাজধানী ছাড়া অন্য জেলা কিংবা বিভাগীয় শহরে তৈরি হচ্ছে না দক্ষ মানবসম্পদ।  তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এ বছরের মধ্যেই দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হবে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা। আর এতে স্বপ্ন দেখছেন রাজশাহীর আইটি সেক্টরে কর্মরতরা। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে ১২টি হাইটেক পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহীর হাইটেক পার্কের নাম চূড়ান্ত করে সমীক্ষা জরিপের কাজও শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিগগিরই এ পার্কের কাজ শুরু হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজশাহীতে হাইটেক পার্ক নির্মাণ হলে প্রযুক্তি খাতে বিপ্লব ঘটবে, বাড়বে কর্মসংস্থান। রাজশাহী জেলা প্রশাসকের দফতর সূত্র জানায়, হাইটেক পার্কের নামকরণ করা হয়েছে বরেন্দ্র সিলিকন সিটি। হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ওয়েব সাইটে প্রস্তাবিত আইটি ভিলেজে এ নাম লেখা রয়েছে। ইতিমধ্যেই সমীক্ষা জরিপ শেষ হয়েছে। এখন বাস্তবে রূপ দেওয়ার অপেক্ষা। এ জন্য নগরীর বুলনপুরে ২৪ দশমিক ১৮ একর জমির চাহিদা পাঠানো হয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়ে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটি) এস এম তুহিনুর আলম জানান, আইটি ভিলেজের জন্য জমির যে চাহিদা তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পদ্মা নদীর পাশেই হবে হাইটেক পার্ক, যেখানে অরক্ষিত আছে বাঁধটি। বাঁধের সংস্কারের মধ্য দিয়ে হাইটেক পার্কের কার্যক্রম শুরু হবে। সম্প্রতি রাজশাহী বিভাগের প্রায় ৯০০ জন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন নির্মাতাকে নিয়ে হয়ে গেল একটি বুট ক্যাম্প। নির্মাতার সংখ্যা চোখে পড়ার মতো, তবে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে আছে বিস্তর অভিযোগ। শাহরিয়ার, দিব্য আরিফ অথবা সাগর এরা সবাই ইনফরমেশন টেকনলজি সেক্টরে অন্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে এগিয়ে। ফ্রিল্যান্সিং, ওয়ার্ড প্রেস প্লাগ ইন ডেভেলপার কিংবা নতুন নতুন চমকপ্রদ মোবাইল অ্যাপস তৈরিতে অভিজ্ঞতা অনেক। তবে তাদের অভিযোগ, ইন্টারনেটের গতি কম হওয়ায় তারা ভারত থেকে অনেক পিছিয়ে। ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো গেলে আরও বেশি এ খাতে মনোযোগ দিতে পারবেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আইটি ভিলেজ হলে বেকারত্ব দূরীকরণের সঙ্গে রাজশাহী অঞ্চলের প্রযুক্তিখাতের আমূল পরিবর্তন ঘটবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক শামিম আহমেদ জানান, এ খাতের বিশেষজ্ঞদের রাজশাহীমুখী করতে হবে। তাহলে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা সম্ভব হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, হাই-টেক পার্ক নির্মাণের জন্য জমি পাওয়া গেছে। শিগগির কাজ শুরু হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরের সময় যে ২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, এর মধ্যে ২২০ মিলিয়ন ডলারে ১২টি হাইটেক পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে রাজশাহীর একটি। আগামী বছরের মধ্যে সব উপজেলাতে থ্রিজি সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর