ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক শিক্ষক পরিমল জয়ধর আত্নপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গতকাল ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির‌্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে শুনানির সময় মামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন পরিমল। এর আগে বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমেদ আসামি পরিমলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণে আসা অভিযোগ পড়ে শোনান এবং দোষী, না নির্দোষ, জানতে চান। তখন উত্তরে আসামি পরিমল ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। পরে যুক্তিতর্কের শুনানির জন্য ১ নভেম্বর দিন ধার্য করেন বিচারক। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফোরকান মিয়া সাংবাদিকদের জানান, আসামি নির্দোষ দাবি করলেও তার বিরুদ্ধে পর‌্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ রয়েছে। আসামি ২০১১ সালের ৭ জুলাই বিচারকের কাছে ঘটনার কথা স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, যার মাধ্যমে তার সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করা যায়। এর আগে মামলায় ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১২ সালের ৭ মার্চ আসামি পরিমলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১১ সালের ২৮ মে ওই ছাত্রীকে হাত বেঁধে, মুখে ওড়না গুঁজে জোরপূর্বক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন পরিমল। এ সময় ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবি মোবাইলে ভিডিও করা হয়। ওই ভিডিও বাজারে ছাড়ার কথা বলে ওই বছরের ১৭ জুন ফের ধর্ষণ করেন তিনি। পরে ছাত্রীর বাবা একই বছরের ৫ জুলাই বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির‌্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরদিন ৬ জুলাই পরিমল জয়ধরকে কেরানীগঞ্জে স্ত্রীর বড় বোনের বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে পরিমল কারাগারে আছেন। পরিমল ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ার লাটেংগা গ্রামের বাসিন্দা।