শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

দাম কমছে ইলিশের বেড়েছে শাকসবজির

নিজস্ব প্রতিবেদক

দাম কমছে ইলিশের বেড়েছে শাকসবজির

দাম কমছে ইলিশের। কমতির দিকে পিয়াজের দামও। তবে  বেড়েছে শাকসবজি ও চালের দাম। গত সাত দিনের ব্যবধানে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩-৪ টাকা। কমেছে পিয়াজের দাম। প্রতি কেজিতে ২০ টাকা। এ ছাড়া বেশির ভাগ সবজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতের আগমনে নতুন নতুন সবজি বাজারে এলেও দাম ক্রেতার নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে।

সরেজমিন মহানগরীর শান্তিনগর ও মিরপুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, এ দুই বাজারে থরে থরে সাজানো হরেক রকমের সবজি। কমতি নেই ক্রেতারও। তবে বেচাকেনা অপেক্ষাকৃত কম। বিক্রেতাদের দাবি, বিক্রি নেমে এসেছে অর্ধেকেরও নিচে। ক্রেতারা বলছেন, গরিবের অবলম্বন হিসেবে পরিচিত সবজি এখন আর গরিবের নাগালে নেই। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারেরও সামর্থ্য নেই পছন্দমতো সবজি কেনার। ধনীদের খাবারে পরিণত হয়েছে আলু-পটোলও।

দেখা যায়, প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুনও। গতকাল ১ কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। এ ছাড়া টমেটো ও গাজরের কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁকরোল ৬০-৭০, পটোল ৫০-৬০, মুলা ৫০-৬০, করলা ৬০-৭০, কচুর লতি ৬০, কচুর মুখি ৬০, শসা ৫০, পেঁপে ৩৫-৪০, আলু ২৫-২৬ এবং প্রতি পিস লাউ ৬০-৭০, ফুলকপি ৪০-৫০, পাতাকপি ৩০-৪০, চালকুমড়া ৪০-৫০; মিষ্টিকুমড়ার ফালি ৪০-৫০ ও কলার হালি ২৫-৩০ টাকা। এ ছাড়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১ কেজি ওজনের পুঁইশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। প্রতি আঁটি লাউশাক ২৫-৪০, হেলেঞ্চাশাক ১০ টাকাভ কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। ধনেপাতার কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। লেবুর হালি ২০-৩০ টাকা। এ ছাড়া বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাওর-বাঁওড়ে এখন মাছ ধরার মৌসুম চলছে। ফলে ছোট মাছের দাম কিছুটা কম। তবে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কমছে ইলিশের দাম। ৮০০ গ্রাম ওজনের ১টি ইলিশ এখন ১ হাজার টাকা। আইড়, বোয়াল, কোরাল, বেলে, চিংড়ি, রূপচাঁদা, বাইম মাছ প্রতি কেজি ৮০০ টাকার কমে পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে মধ্যবিত্তের অবলম্বন কেবলই চাষের মাছে। সেখানেও ভোগান্তি। তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২৪০, পাঙ্গাশ ১৩০ থেকে ১৭০ এবং কই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া পিয়াজের দাম ৮০ থেকে ২০ টাকা কমে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রসুন ৯০-১০০, আদা ৯০-১০০ টাকা কেজি। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা। চালের মধ্যে মিনিকেট ৪৫-৪৬, নাজিরশাইল ৪৬-৪৮, পারি ৪২, বিআর আটাশ ৪০, স্বর্ণা ৩৮-৪০, লতা ৪০-৪২ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হতে দেখা যায়। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৩৮০ থেকে ৪০০, খাসির মাংস ৫০০ থেকে ৫৫০, ব্রয়লার মুরগি ১৪০, লেয়ার ১৫০ কেজি; পাকিস্তানি মুরগির হালি ৮০০ থেকে ১৪০০; দেশি মুরগি প্রতিটি ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি হালি মুরগির ডিম ৩২ এবং হাঁসের ডিম ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়। শাকসবজির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মিরপুর বাজারের বিক্রেতা আবুল কাশেম বলেন, সবজির এখন মৌসুম নয়। বর্ষাকালীন সবজি শেষ হয়ে গেছে। এসব কারণে সবজির দাম কিছুটা চড়া।

 

 

সর্বশেষ খবর