শিরোনাম
সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

কিশোর থিয়েটারের ৩২ বছরে পদার্পণ

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

কিশোর থিয়েটারের ৩২ বছরে পদার্পণ

শিল্পকলা একাডেমিতে গতকাল ‘এবং বিদ্যাসাগর’ মঞ্চস্থ হয় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নানা বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৩২ বছরে পদার্পণ করেছে কিশোর থিয়েটার। আয়োজনের মধ্যে ছিল আলোচনাসভা, সম্মাননা প্রদান ও নাটক মঞ্চায়ন। গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন। ৩২ বছর পদার্পণের এ অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল নাটক মঞ্চায়ন। দলের নিজস্ব প্রযোজনার ‘মাতৃভূমি’ নাটকটি মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে এ আয়োজনকে করে তোলা হয় জমকালো। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খান। প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বোমা হামলার বীভৎস চিত্র এ নাটকে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলার প্রাচীন বর্ণানাত্মক নাট্যরীতিকে অবলম্বন করে ইতিহাসের পথ ধরে হেঁটেছে এ নাটকের কুশীলবরা। মোটকথা প্রাচীন ইতিহাসকে আশ্রয় করেই বিন্যস্ত হয়েছে ‘মাতৃভূমি’র কাহিনী। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন : পারিশা এশা, সৌন্দর্য প্রিয়দর্শিনী ঝুম্পা, কৌশিক সাহা আকাশ, আল-আভী জাহান, সামিয়া আক্তার, ইসরাত জাহান ইমু, হাসিবুল ইসলাম অংকন, নাজমুল হোসেন প্রমুখ। এর আগে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। দলের সভাপতি নিয়াজ আহমেদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মেদ গিয়াস। কিশোর থিয়েটারের অকালপ্রয়াত শিশু নাট্যশিল্পী কুদরত-ই-মাওলা তুষার স্মরণে অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ ও শিশুবন্ধু লিয়াকত আলী লাকীকে প্রদান করা হয় কুদরত-ই-মাওলা তুষার সম্মাননা।

শিল্পকলায় কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ ও গান : শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ ও গানের আসর। গতকাল সন্ধ্যায় একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন। অনুষ্ঠানে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি রফিকুল হক, হাবীবুল্লাহ সিরাজী, কামাল চৌধুরী, ফারুক মাহমুদ, মনজুরুর রহমান, হালিম আজাদ ও সাদিয়া স্বাতী। কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠের শুরুতেই কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী পাঠ করে শোনান তার ‘কবির হাত’, ‘লাল মৃত্যু’ ‘উচ্চতা’ ও ‘দহন কুসুম’ কবিতাগুলো। অনুষ্ঠানে মনজুরুর রহমান পাঠ করেন ‘সবুজ টিকিট’, ‘কলম্বোর কালো মেঘ’ ও  ‘আমাদের দেখা হবে’ কবিতাগুলো। কামাল চৌধুরী পড়েন ‘বৃষ্টিকাল’, ‘ছিন্নমূল’, ‘শিরোনামহীন’, ‘পাখি শিকারের আগে’ ও ‘জন্মদিনে’সহ ৫টি কবিতা। হালিম আজাদ পাঠ করেন ‘হায় চিঠি’, ‘বটগাছ তুমি আমাদের উপদেষ্টা হও’, ‘দুধভাত’ ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কবিতা ‘জালঘর আর বুড়িগঙ্গার কথা’। ফারুক মাহমুদ পড়েন ‘চলে যাচ্ছে যাবে’, ‘ছয় দশকের প্রেমের আলো’, ‘বাবা ও মেয়ের গল্প’ ‘তোমার কাছে যাবো’ ও ‘আগুনে আপত্তি নেই’।  রফিকুল হক পড়েন কয়েকটি ছড়া। শেখ রাসেল স্মরণে একটি ছড়া পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ফারুক মাহমুদের পরিবেশনা। এ ছাড়া তিনি প্রকৃতি নিয়ে লেখা ‘প্রকৃতির জন্য ভালোবাসা’, পথশিশুদের নিয়ে লেখা ‘হাসতে জানে না’, ‘পিঁপড়ে’ ও  ‘মাছি’ শিরোনামের ছড়াগুলোসহ রংপুরের ভাষায় আরও তিনটি ছড়া পাঠ করেন। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সেমন্তী মঞ্জুরী।

সর্বশেষ খবর