পদ্মা নদীতে ব্যারাজ নির্মাণে ভারতের সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণেও ভারতের আগ্রহকে বাংলাদেশ সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরাতে এলপিজি নেওয়ার জন্য বাংলাদেশে যৌথ উদ্যোগে একটি এলপিজি টার্মিনাল করার আলোচনা তুলেছে ভারত। এ প্রস্তাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গতকাল দুপুরে ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এ কথা জানান। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন। দেশের প্রধান নদী পদ্মায় পানি ধরে রেখে শুষ্ক মৌসুমে তা সেচ, জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহারের জন্য রাজবাড়ীর কাছে ব্যারেজ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে সরকার। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে আনুমানিক ৩২ হাজার কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং দু’দেশের উচ্চপর্যায়ের সফরকালে গৃহীত চুক্তিসমূহ ও অন্যান্য সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি ও এর প্রটোকল উভয়পক্ষ নির্ধারিত সময়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বাস্তবায়ন করায় এবং দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সদ্যবিলুপ্ত ছিটমহল এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে; যাতে সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যায়। এসব কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তদারকি করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বিদ্যুৎ খাতে ভারতের সহযোগিতার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমরা উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার পরবর্তী পর্যায়ে এগিয়ে যেতে চাই।’ দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা শক্তিশালী করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে পঙ্কজ শরণ বলেন, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে নতুন একটি অভিবাসন চেকপোস্ট চালুর অপেক্ষায় আছে। পাশাপাশি বেনাপোলের ওপারে পেট্রাপোলে একটি সমন্বিত অভিবাসন চেকপোস্ট স্থাপনের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী ও মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ : ভারতের হাইকমিশনারের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তুরস্কের নতুন রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওজটার্ক। শেখ হাসিনা এ সময় বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।