সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বালুখালী-ঘুমধুম সীমান্ত সড়ক প্রকল্প স্থল পরিদর্শনে এসে প্রেসব্রিফিংকালে বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারের সঙ্গে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নয়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে উখিয়ার বালুখালী থেকে ঘুমধুম সীমান্ত পর্যন্ত চার লাইনের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সড়ক নির্মাণ কাজ শিগগিরই শুরু করা হবে এবং ২০১৭ সালের মাঝামাঝি নাগাদ এটির নির্মাণ কাজ সম্পূন্ন হবে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী কাস্টম ঘাট থেকে মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম পর্যন্ত প্রস্তাবিত সীমান্ত সড়ক প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে আসেন। মন্ত্রী এ সময় বলেন, এর আগে প্রস্তাবিত সড়কটি দুই লেনে নির্মাণের খসড়া মন্ত্রিপরিষদে ও জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী পরিষদ বা একনেক সভায় উত্থাপন করা হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যৎ গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে প্রস্তাবিত সীমান্ত সড়কটি দুই লেনের স্থলে চার লেনে পরিবর্তন করার নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন লাভ করেছে এবং প্রকল্প ব্যয় ৫৫ কোটি থেকে ৮৪ কোটি টাকায় গৃহীত হয়েছে। সড়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর নির্মাণ প্রকৌশল ব্যাটালিয়ন বা ইসিবি প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন করবে। বর্তমানে প্রকল্প এলাকায় ধান ক্ষেত থাকায় আগামী নভেম্বরে ধান কাঠা শেষ হলে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হবে বলে মন্ত্রী জানান। মন্ত্রী আরু বলেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘকালের ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক রয়েছে। প্রস্তাবিত সড়কটি নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন হলে মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, যোগাযোগ, পর্যটন খ্যাতসহ সর্বোপরি অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও নতুন ধার উন্মোচিত হবে। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইসিবির প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবদুল ওহাব, বিজিবির কক্সবাজারের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এম এম আনিসুর রহমান, কক্সবাজার ১৭ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রবিউল ইসলাম, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এবং মিডিয়া কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।