বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

সবজি চাষে দারিদ্র্য জয়

মাসুদ হাসান বাদল, শেরপুর

সবজি চাষে দারিদ্র্য জয়

জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় সাড়ে ৭ হাজার বিঘা জমিতে চাষ হচ্ছে সবজি। গুমরা, সন্ধ্যাকুড়া, ফাকরাবাদ, হলদিগ্রাম, বাড়–লা, রাংটিয়া ও ডেফলাই গ্রাম। এসব গ্রামে এখন শোভা পাচ্ছে শিম, বেগুন, টমেটো, বরবটি, লাউসহ নানা     জাতের সবজি। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ছুঁই ছুঁই ঝিনাইগাতীর অবহেলিত এই জনপদে যাদের দিন কাটতো অনাহারে-অর্ধাহারে, তাদের এখন জীবন কাটছে স্বাচ্ছন্দ্যে। তবে এখানে সবজি চাষে বড় সমস্যা সেচ সংকট ও সরকারি ঋণ। পাশের মারশি নদী থেকে হাঁড়ি দিয়ে পানি টেনে এনে জমিতে সেচ দিতে হয়। কৃষকরা জানিয়েছেনÑ আর কদিন পরই ধুম পড়বে সবজি বেচা-কেনার। প্রতিদিন সকালে এলাকার মোড়ে মোড়ে বসবে হাট। পাইকাররা সবজি কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যাবেন রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে। সীমিত পরিসরে এসব গ্রামে অনেক দিন আগে থেকেই সবজির চাষ হতো। তবে ৮/১০ বছর ধরে এটি হচ্ছে ব্যাপকহারে। ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুরবান আলী জানান, ঝিনাইগাতী সীমান্তে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার বিঘা জমিতে সবজির চাষ করা হয়েছে। এখান থেকে বিদেশে সবজি পাঠানোর জন্য একটি ব্যবসায়িক সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তি হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অখ্যাত কিছু ওষুধ কোম্পানি অপ্রয়োজনে বালাইনাশক ও ভিটামিন ব্যবহারে কৃষকদের বাধ্য করায় উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা জানান, এক সময় এখানকার মানুষের কোনো কর্ম ছিল না। দারিদ্র্যই ছিল পাহাড়িদের পরিচয়। সবজি চাষ সেই চিত্র পাল্টে দিয়েছে। কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক হাজার শ্রমিকের। যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পানি সংকট সমাধান হলে অঞ্চলটি সবজি উৎপাদনে দেশের দৃষ্টান্ত হতো। সেচের আধুনিক প্রযুক্তি সাব-মারসিবল পাম্প করে দিলে কৃষকদের কষ্ট কমবে ও বাম্পার ফলন হবে। আরও পতিত জমি আসবে চাষের আওতায়। তিনি এ ব্যাপারে শেরপুর-২ আসনের এমপি কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। শেরপুর-৩ (শ্রীবরদি-ঝিনাইগাতী) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল হক চান জানান, ‘পাহাড়ের মানুষ সবজি চাষ করে এখন স্বাবলম্বি। ওখানে একটি হিমাগার করতে সংসদে কয়েকবার বলেছি। সাব-মারসিবল পাম্প, যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ দিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে তাগিদ দেব।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর