দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হলে কয়েক দিনের মধ্যে অধ্যাদেশ হাতে পেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু কাজ এগিয়ে রেখেছি। কিন্তু দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন করতে হলে কয়েক দিনের মধ্যে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। অধ্যাদেশ না হলে বিদ্যমান আইন মেনে নির্দলীয়ভাবে ভোট করতে হবে।’ এ ছাড়া ডিসেম্বরের মধ্যে কিছু পৌরসভার নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থাকায় ‘পেছানোর’ কোনো সুযোগ নেই বলে জানান তিনি। গতকাল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি। সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে নির্বাচন কমিশনার, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও নির্বাচন কর্মকর্তারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। ১২ অক্টোবর মন্ত্রিসভায় স্থানীয় সরকার আইন সংশোধন অনুমোদিত হলেও পক্ষকাল ধরে অধ্যাদেশ জারি হয়নি। সে ক্ষেত্রে দলীয়ভাবে পৌরসভা ভোটের জন্য অধ্যাদেশের অপেক্ষার কথা জানিয়েছিলেন সিইসি। সিইসি বলেন, ‘স্বল্প নোটিশে ভোট আয়োজনের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হয়। যেহেতু জেনেছি সরকার অধ্যাদেশ করবে, সে জন্য বিধিমালা-সংক্রান্ত কিছু কাজ এগিয়ে রেখেছি আমরা, যাতে অধ্যাদেশ হাতে পেলেই তাড়াতাড়ি তা জারি করা যায়।’ তবে দলভিত্তিক স্থানীয় নির্বাচন করতে হলে অধ্যাদেশ জারিতে দেরি হলে তাদের ‘বিকল্প’ ব্যবস্থার কথাও তুলে ধরেন তিনি। কাজী রকিবউদ্দীন বলেন, ‘কয়েক দিনের মধ্যে অধ্যাদেশ হলে আমাদের অসুবিধা হবে না। তাড়াতাড়ি করে যেন নির্বাচন পরিচালনা ও আচরণ বিধিমালা করা যায় সে প্রস্তুতি রয়েছে। তবে দেরি হলে কী করা যায় দেখা যাক। অধ্যাদেশ না হলে বিদ্যমান আইন মেনে নির্দলীয়ভাবে ভোট করতে হবে। কিছু পৌরসভায় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সময় রেখে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। অধ্যাদেশ না হলে বিদ্যমান আইনে এসব ভোট হবে।’

আইন সংশোধনে মত দিল ইসি : স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলভিত্তিক করতে আইন সংশোধনের প্রাক্কালে ভোটের সময়ে পরিবর্তন আনতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে মতামত পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্ধারিত সময়ে ভোট করা না গেলে ?যুক্তিসঙ্গত স্বল্প সময়ে নির্বাচন আয়োজনের সুযোগ রাখার প্রস্তাব করেছে ইসি। গতকাল এ সংক্রান্ত মতামত স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে জানান ইসির যুগ্ম-সচিব জেসমিন টুলী। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের সব আইনে সামঞ্জস্য আনতে পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদসহ সব আইনের কয়েকটি ধারায় সংশোধনের মতামত দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের তুলনামূলক চিত্রও পাঠানো হয়েছে।