সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

এমপির স্টিকারযুক্ত দুটি গাড়ি আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাঁদাবাজি, মাদক বহনসহ নানা অপকর্মে জড়িত জাতীয় সংসদের স্টিকার লাগানো দুটি দামি গাড়ি আটক করেছে পুলিশ। রাজধানীর আগারগাঁও এলাকার একটি বাড়ির গ্যারেজ থেকে কালো রঙের এলিয়ন ও র‌্যাব ফোর জিপ আটক করা হয়। এ সময় গ্রেফতার করা হয় এলিয়ন (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৫-০১৬৩) গাড়ির চালক হাবিবকে। হাবিব পুলিশকে জানিয়েছেন, সাইদুর রহমান মুন্নার গাড়ির চালক হিসেবে চাকরি করেন তিনি। মুন্না জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রণালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি দুটি ব্যবহার করতেন। তিনি নিজেকে একজন উপমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াতেন। উপমন্ত্রীর পিএ হিসেবে তার ভিজিটিং কার্ডও রয়েছে। শুক্রবার মধ্য রাতে গাড়ি দুটি আটক করলেও পুরো ঘটনাটির বিষয়ে পুলিশ গোপনীয়তা রক্ষা করে। শনিবার এ বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা মুখ খোলেনি।

গতকাল দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিমুজ্জামান জানান, তারা মুন্নাকে খুঁজছেন। তার কোনো হদিস মিলছে না। তিনি একজন প্রতারক। বিভিন্ন এমপি-মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে তিনি প্রতারণা করে থাকেন। গাড়ি দুটির মালিকের নাম নিশ্চিত হতে তারা বিআরটিএর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানান ওসি। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় গাবতলী নূর গ্যাস স্টেশনের সামনে থেকে হাবিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হাবিবের মাধ্যমে গাবতলী এলাকার বিভিন্ন পাম্প থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করা হতো। বৃহস্পতিবার আরেকটি পাম্প থেকে মুন্না দুই লাখ টাকা চাঁদা তুলে নিয়ে গেছেন। শুক্রবার হাবিবকে পাঠানো হয় আরেকটি পাম্পে। তখনই পুলিশের হাতে ধরা পড়েন হাবিব। হাবিবের দেওয়া স্বীকারোক্তিমতে, গাড়ি দুটি আটক করে পুলিশ। মুন্নার বাসায় অভিযান চালিয়ে দুটি ওয়াকিটকি, ১০টি মোবাইল ফোন, দুটি খেলনা পিস্তল, একটি ল্যাপটপ, থ্রিজি মডেম ও দুটি বড় টর্চলাইট উদ্ধার করা হয়। দারুস সালাম থানা পুলিশ জানায়, এ ব্যাপারে একটি মামলা করা হয়েছে। হাবিবকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ খবর