শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
উদ্ভাবন

বাংলাদেশে প্রথম তৈরি সোলার সাইকেল

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

বাংলাদেশে প্রথম তৈরি সোলার সাইকেল

পরিবেশ বান্ধব সোলার সাইকেল। নেই কোনো চার্জের খরচ। দিনের বেলায় এটি সূর্যের আলোয় চার্জ নেবে এবং যদি রাতে চালানো হয় তাহলে রাস্তায় অন্যান্য যানবাহনের হেড লাইটের আলোতেও চার্জ নেবে। এই চার্জে ১ ঘণ্টায় চলবে ২০/২৫ কিলোমিটার।

দেখতে ও শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও এমন একটি সাইকেল তৈরি করেছেন দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তিন ছাত্র। এরা হলেন ইনস্টিটিউটের পাওয়ার টেকনোলজির ষষ্ঠ পর্বের ২য় শিফটের ছাত্র দিনাজপুর শহরের বাসুনিয়াপট্টির মাধব মল্লিকের ছেলে বিজয় মল্লিক (১৮), মাশিমপুরের আবদুস সামাদের ছেলে সাব্বির হোসেন ও নীলফামারী জেলার বেড়াকুঠির হেমন্ত কুমার রায়ের ছেলে শান্ত কুমার রায় (১৮)। এ ধরনের দ্রুতগতি সম্পন্ন ও সাশ্রয়ী সাইকেল বাংলাদেশে এটাই প্রথম। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সোলার সাইকেল’। তিন ছাত্র জানান, যদি চলতে চলতে কখনো চার্জ শেষ হয়ে যায় তাহলে স্বাভাবিক সাইকেল যেভাবে প্যাডেল ব্যবহার করে চালাতে হয়, ঠিক সেভাবেই চালাতে হবে। তাতে অটোমেটিক ব্যাটারিগুলো চার্জ হতে থাকবে। এই সাইকেল বেশি ভারিও নয়। এ সাইকেলের সুবিধা হলো, সাধারণ সাইকেল থেকে এটি অনেক দ্রুতগতি সম্পন্ন। মোটর লাগানো তবুও বিদ্যুৎ খরচ করে চার্জ দিতে হয় না। আর তেল খরচ নেই। তারা আরও জানান, সাইকেলটি শহরে বের করলেই সবাই কেমন যেন অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। বর্তমানে মোটরসাইকেলের পাশাপাশি আরেকটি বৈদ্যুতিক চার্জ সিস্টেম মোটরসাইকেল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তার দামও অনেক বেশি।

 আর এ ধরনের একটি সোলার সাইকেল তৈরি করতে প্রয়োজন একটি সাইকেল, ২০ ওয়াটের ১টি সোলার প্যানেল, ২৪ ভোল্টের ২টি ব্যাটারি, পিকআপ সেট, ১টি ডিসি  মোটর ও ১টি আইপিএস। আর এতে খুব  বেশি হলে খরচ হয় প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। তিন ছাত্র বলেন, যেহেতু এটি বাণিজ্যিকভাবে দেশের জন্য লাভজনক, সেহেতু সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা পেলে আমরা এটাকে বাজারজাত করতে পারব। যা আমাদের চলার পথকে ছোট করে দেবে ও  দেশের জন্য যা অনেক লাভজনক হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ সাইকেল ভালো অবদান রাখবে।

সর্বশেষ খবর