সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
সংসদ অধিবেশন শুরু

পৌরসভা ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ অধ্যাদেশ উত্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনের প্রথম দিনে গতকাল দুটি অধ্যাদেশ উত্থাপন করা হয়েছে। এর একটি হলো স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ এবং অন্যটি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১৫ (সংশোধন) অধ্যাদেশ।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকাল ৪-৩৫ মিনিটে সংসদে এ অধ্যাদেশ দুটি উত্থাপিত হয়। দলভিত্তিক পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন করা সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির জারি করা অধ্যাদেশটি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক উত্থাপন করেন। প্রসঙ্গত, ২ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অধ্যাদেশটি জারি করেন। ৩ নভেম্বর এটি গেজেট আকারে প্রকাশ হয়। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০১ তে বলা হয়েছে, কোনো পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কোনো ব্যক্তিকে কোনো রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে। রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত যে কোনো বিষয় অধ্যাদেশটিতে থাকবে।

মানি লন্ডারিং অধ্যাদেশ : অভিযুক্তদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার ও সম্পত্তি ক্রোকের বিধান রেখে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১৫ (সংশোধন) অধ্যাদেশটি উত্থাপন করেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এতে ২০১২ সালের ৫নং আইনের ধারা ২ সংশোধন করে বলা হয়েছে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ পৎরসরহধষ ষধি (ধসবহফসবহঃ) ধপঃ, ১৯৫৮(ধপঃীষ ড়ভ ১৯৫৮)  ংবপঃরড়হ ৩ এর অধীন নিযুক্ত স্পেশাল জজ কর্তৃক বিচার্য হবে। ধারা ১৪-এর (ক) উপধারা (১) সংশোধন করে বলা হয়েছে,  তদন্তকারী সংস্থার লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে আদালত বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের বাইরে অবস্থিত মানি লন্ডারিং অপরাধের সহিত সম্পৃক্ত সম্পত্তি বা অপরাধলব্ধ আয় বা সম্পত্তি অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশ প্রদান করতে পারবে। মানি লন্ডারিং অপরাধের সহিত সম্পৃক্ত, অপরাধলব্ধ আয়, অর্থ বা সম্পত্তি চিহ্নিত করা সম্ভব না হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সত্তার অন্য অর্থ বা সম্পত্তি থেকে সমমূল্যের অর্থ বা সম্পত্তি অবরুদ্ধ বা ক্রোক করা যাবে। আগের আইনের ধারা ৯-এর সংশোধনে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ও বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ক্ষমতাপ্রাপ্ত এক বা একাধিক তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে যৌথ তদন্তকারী দল কর্তৃক তদন্ত করতে পারবে। এ ছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সত্তার সম্পত্তি অনুসন্ধান ও শনাক্তকরণের নিমিত্তে তদন্ত কর্মকর্তা এই আইনের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ৫নং আইনের প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে বলেও অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়।

সর্বশেষ খবর