রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যা মামলার চার্জশিট প্রস্তুত হয়েছে। শিগগিরই এটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে। চার্জশিটে ১২ জনকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ থাকছে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলের নাম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রেজাউস সাদিক জানান, গত বছরের ১৫ নভেম্বর রাবি অধ্যাপক লিলন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর মামলাটি তিনজন কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন। বিভিন্ন সময় ১৮ জনকে পুলিশ ও র‌্যাব গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী এ হত্যাকাণ্ডটি ব্যক্তিগত ক্রোধের কারণে হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত। যাদের নামে চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে তাদের মধ্যে কেবল নাসরিন আকতার রেশমা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতার হওয়া অন্যরা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করলেও আদালতে গিয়ে জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করেন। তবে সাক্ষ্য-প্রমাণে যাদের  বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের নামেই চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলের ভূমিকা প্রসঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, রাবি অধ্যাপক লিলনের সঙ্গে আগে থেকে বিরোধ ছিল আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলের। ওই শিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন উজ্জ্বল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দফতরের সহকারী সেকশন অফিসার নাসরিন আকতার রেশমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছিলেন শিক্ষক লিলন। ফলে রেশমার স্বামী পিণ্টু শিক্ষক লিলনকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে চেয়েছিলেন। এই দুই ঘটনাকে মিলিয়ে উজ্জ্বল ও পিণ্টু শিক্ষক লিলনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। অন্যদের মাধ্যমে ঘটনাটি ঘটানো হয়।